উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দ্বিতীয়ত একজন নাগরিক হিসেবে বলব, আমাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। অর্থাৎ একজন সচেতন নাগরিক, যিনি সহজভাবে ভোট দিতে আগ্রহী, তাঁকে এই আট দফা নির্বাচনের মাধ্যমে কিছুটা যেন খোঁচানো হচ্ছে। একটা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা। একটা ভয়ের আবহ যেন ইচ্ছাকৃতভাবে চাপিয়ে দিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এই যেমন এক একটি জেলায় একাধিক দিনে ভোট... এর ফলে আমি তো বুঝেই উঠতে পারছি না আমার ভোট কবে? অহেতুক এই বিভ্রান্তি কেন? এছাড়া রাজনৈতিক প্রচার আন্দোলনেরও আমি বিপক্ষে। শিক্ষিত ভারতের এটা আচরণ হতে পারে না।
তৃতীয়ত, দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গেও আমার প্রশ্ন রয়েছে। আমরা একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে দাঁড়িয়ে আছি। সেক্ষেত্রে এখনও উন্নয়নের নামে রথযাত্রা হয়! হিন্দু ধর্মের দেবদেবীদের নিয়ে প্রচার করা হয়! এ কেমন উন্নয়ন? এ কেমন অগ্রগতি? এতে অহেতুক একটা কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। আর প্রচারের দিকটাও ভাবুন, সম্পর্ক নিয়ে টানাটানি চলছে। আমার প্রশ্ন, এটা কি গণতন্ত্র? নাকি রাজতন্ত্র? আমরা কি আমাদের সংবিধানকে ভুলে যাচ্ছি ক্রমশ? কই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তো কেউ কথা বলছেন না! আমাদের ন্যূনতম অধিকারগুলো আমরা কেন পাচ্ছি না, এই বিষয়গুলো নিয়ে তো আলোচনা হচ্ছে না? তাই বলব রাজনৈতিক প্রচারের স্তরটা বড্ড নেমে গিয়েছে।
তবে বাঙালিকে হেনস্তা করার রাজনীতি আজ নতুন নয়। পরাধীন ভারতেও আমরা দেখেছি, কীভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে লাইমলাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ আমাদের রাজ্য থেকে আমরা বাঙালিরাই প্রথম বিদেশিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলাম। প্রতিবাদে সরব হয়েছিলাম। তখনও চলেছিল এক নোংরা রাজনীতির খেলা। তাহলে হঠাৎ রবীন্দ্রনাথ, নেতাজিদের নিয়ে এত মাতামাতি কেন? কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নেতাদের জানা দরকার, বাঙালি ভদ্র, কিন্তু বোকা নয়। তাই আমাদের মনীষীদের নিয়ে হঠাৎ মাতামাতি করলেই যে আমরা আহ্লাদিত হব, এমনটা ভাববেন না। বরং আমরা কী পেলাম আর কী হারালাম, তার একটা হিসেব আমাদের দেওয়া হোক।
আমার শেষ প্রশ্ন, আট ভাগে ভোট করলেই আশাপ্রদ ফল হবে তো? যদি না হয়, তাহলে কি নির্বাচন কমিশন এরপর বারো দফায় নির্বাচন করতে বলবেন? আমাদের রাজ্য ঘিরে এই অনিশ্চয়তা কেন? গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ভুলে গিয়ে রাজ্য জয়ের এ কোন খেলায় মেতে উঠলেন রাজনীতিবিদরা?