উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিতর্কের কেন্দ্রে নদীয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের ধনঞ্জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানকার ২১ জন বিজয়ী প্রার্থীর দলীয় বিন্যাস ছিল এইরকম, তৃণমূল কংগ্রেস ১৪, বিজেপি ৬ এবং নির্দল ১। গত মাসের ২৬ তারিখে অন্যতম সদস্য জ্যোৎস্না বিশ্বাস সহ ১১ জন বিডিও’র কাছে প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। সেই প্রস্তাব তথা আবেদন সূত্রে বিডিও ৩ মার্চ ঘোষণা করেন, ১১ মার্চ বেলা ২টোর সময় অনাস্থা প্রস্তাব অনুযায়ী ভোটাভুটি হবে। বিডিও’র এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করেন প্রধান নারগিস সেখ ও উপপ্রধান। তাঁরা দাবি করেন, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর এমন প্রস্তাব অনুযায়ী প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না।
মামলাকারীদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা সদস্যদের তরফে আইনজীবী অমলবরণ চট্টোপাধ্যায় ও অলকেশ দলুই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির একটি নির্দিষ্ট ধারা আদালতে পেশ করেন। যেখানে এমন অনাস্থা বৈঠককে স্ট্যাটিউটরি বলে উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, পুরসভা বা পঞ্চায়েতে এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে, তা এড়ানো যাবে না। কারণ, ‘নো কনফিডেন্স মোশন’ আদতে পঞ্চায়েত আইনেরই এক বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা। তাই সেই আইনি পথেই এমন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ১১ মার্চ সম্পর্কিত বৈঠক হওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধা রইল না।