বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গের উপর একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা দাঁড়িয়ে আছে। তার জেরে সেখানে বৃষ্টি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সাধারণত বঙ্গোপসাগরের উপর থাকে, তা এখন উপর দিকে উঠে গিয়েছে। তার বিস্তার নাগাল্যান্ড পর্যন্ত। ওই অক্ষরেখা প্রচুর পরিমাণে দক্ষিণ-পশ্চিমা বায়ুকে টেনে আনছে। তাই তার জেরেই সেখানে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যেহেতু এরাজ্যের পায়ের তলা থেকে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা, তাই দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভালো বৃষ্টির সুযোগ নেই। আগামী তিনদিনের জন্য আমরা এই পূর্বাভাস দিয়ে রাখছি। পরবর্তীকালে বর্ষার রসায়নে কোনও বদল আসে কি না, তার উপর নির্ভর করে জানাতে পারব বৃষ্টির কথা। তবে বাদলের রকমসকম কলকাতার জন্য যে একেবারেই আশার আলো দেখাচ্ছে না, তা জানিয়েছেন অধিকর্তা। তিনি বলেন, কলকাতায় আপাতত বৃষ্টির তেমন লক্ষণ নেই। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ঘোরাফেরা করতে পারে ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যেহেতু বাতাসে জলীয় ভাব বজায় থাকবে, তাই হাঁসফাঁস করা অস্বস্তি থেকে মুক্তি নেই।
এবার মরশুমের গোড়া থেকেই রাজ্যের জল-ছবি ভালো নয়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বর্ষার যে হিসেব পেশ করেছে, তাতে বৃষ্টির ঘাটতি গোটা রাজ্যজুড়েই। এই সময় স্বাভাবিক যেটুকু বৃষ্টি হওয়ার কথা, তার ২০ শতাংশ থেকে ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত কম হলে, তাকে ঘাটতি হিসেবে চিহ্নিত করে হাওয়া অফিস। সেই অঙ্কে ঘাটতি রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং হাওড়া বাদে দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলায়। হাওড়া এবং মুর্শিদাবাদের অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ। সেখানে বৃষ্টির অতি ঘাটতির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সাধারণত স্বাভাবিক বৃষ্টির তুলনায় ৬০ থেকে ৯৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হলে, তাকে বৃষ্টির অতি ঘাটতি হিসেবে দেখে দপ্তর। সেই নিরিখে হাওড়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৭৩ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে সেই হার ৬০ শতাংশ। ১ জুন থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি কতটা হয়েছে, তার উপর হিসেব কষেই ওই তথ্য জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে যদিও তুলনামূলকভাবে ভালো বৃষ্টি হওয়ার খবর আসছে। তবুও পরিসংখ্যান বলছে, সেখানেও ঘাটতি স্পষ্ট। উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাই ঘাটতির তকমা ঘোচাতে পারেনি এখনও পর্যন্ত। বর্ষার নিরিখে বাংলার চেহারা যে একদমই ভালো নয়, আবহাওয়া দপ্তরের এই হিসেব থেকেই তা পরিষ্কার। ঘাটতির সমস্যা কবে কাটবে, কবে ঘনঘোর বর্ষায় ভিজবে বাংলা, সেই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।