প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বেলপাহাড়ী থেকে ১২ কিলোমিটার গেলেই গাড়রাসিনি পাহাড়। আর গাড়রাসিনি থেকে কয়েক কিলোমিটার গেলেই খাঁদারানি ড্যাম। তিনদিক পাহাড়ে ঘেরা খাঁদারানির ড্যামে পরিযায়ী পাখি ও বালিহাঁসের আনাগোনা লেগেই থাকে। সারা বছরই এখানে পযর্টক আসেন। শীতে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়ে। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। দীর্ঘদিন এই পযর্টন কেন্দ্রটির কোনও উন্নয়ন হয়নি। একবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কাজ হয়নি। কারণ, ওই এলাকাটি বনদপ্তরের। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পর্যটকদের সুবিধার্থে তিন বছর আগে একটি শৌচাগার অবশ্য তৈরি হয়েছিল। তবে সেখানে জলের বন্দোবস্ত নেই। শৌচাগারের দরজাও উধাও। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে তৎকালীন বনমন্ত্রী গৌতম দেব জায়গাটি পরিদর্শন করার পর আপ্লুত হয়েছিলেন। তারপরই ডিএফও খাঁদারানিকে ঘিরে পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব তুলেছিলেন। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী খাঁদারানিতে মহিলা ও পুরুষদের শৌচালয়, বসার শেড, পানীয় জল, ট্রেকিং রুট করার কথা রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র ওয়াচ টাওয়ার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। তারপরই কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ প্রায়ই শেষের মুখে।
বারিঘাটি গ্রামের এক বাসিন্দা জানালেন, গত দু’মাস আগে ওয়াচ টাওয়ারটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এরফলে পযর্টকরা এখন সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। তবে ড্যামটির শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এগুলি না থাকায় পযর্টকরা এলে সমস্যায় পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ধীরে ধীরে মানুষজন আবার বেড়াতে আসছেন। ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হলে এই পযর্টনকেন্দ্রটির গুরুত্ব আরও বাড়বে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হেলোইচ্চি বলেন, পযর্টন কেন্দ্রটির উন্নয়নের জন্য একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য বনদপ্তরের কাছে অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেগুলির কাজ শুরু হবে।