প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৫০হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। মোট সদস্যার সংখ্যা প্রায় ছ’লক্ষ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বার্ষিক সাত শতাংশ হারে ঋণ পায়। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারলে তিন শতাংশ সুদ মকুব হয়ে যায়। অর্থাৎ গোষ্ঠীর সদস্যাদের কাছে বার্ষিক মাত্র চার শতাংশ হারে ঋণের সুযোগ রয়েছে। জেলায় অধিকাংশ গোষ্ঠী সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে পরবর্তী গ্রেডে যাওয়ার শর্ত পূরণ করে দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া হয়। একটি আর্থিক বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কত টাকা ঋণ দেওয়া হবে, তা ঠিক করে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি(এসএলবিসি)। ওই কাজে যাতে কোনওরকম বাধাবিঘ্ন না আসে, সেজন্য প্রতি তিন মাস অন্তর জেলাশাসক এবং লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারের উপস্থিতিতে রিভিউ মিটিং হয়। সেখানে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
জানা গিয়েছে, দেড় লক্ষ থেকে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়া হয়। গোষ্ঠীর সদস্যারা উৎপাদনের মাধ্যমে যাতে স্বনির্ভর হন, সেজন্য তাঁদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে সঙ্ঘ রয়েছে। ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন(এনআরএলএম) স্কিমে সেইসব সঙ্ঘকে ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাছচাষ, প্রাণী পালন, ফুলচাষ, শীতের পোশাক তৈরি, পটের কাজ, মাদুর তৈরি, গয়না বড়ি সহ নানারকম কাজে যুক্ত গোষ্ঠীগুলি। একই সঙ্গে জেলায় চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার কাজেও সমান পারদর্শী গোষ্ঠীর সদস্যারা।
পাঁশকুড়া ব্লকের ঘোষপুর রামানন্দ সঙ্ঘের সম্পাদিকা সুজাতা বেরা আদক বলেন, আমাদের সঙ্ঘের অধীনে গোষ্ঠীগুলি ভালোভাবে ব্যাঙ্কঋণ পাচ্ছে। সাধারণত গোষ্ঠীর সদস্যারা লোনের জন্য একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে রেজ্যুলিউশন করানো হয়। তারপর ব্যাঙ্ক থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করতে হয়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সেই আবেদনপত্র অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেন। কিছুদিনের মধ্যে লোন চলে আসে। তারপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা সেই টাকা নিজেদের হাতের কাজের জন্য বিনিয়োগ করেন। সময়মতো টাকা ফেরত দিলে তিন শতাংশ সুদ ছাড়। সেটা মাথায় রেখে সিংহভাগ সদস্যা সময়মতো টাকা ব্যাঙ্কে মিটিয়ে দেন।