আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১০৮৭জনকে যক্ষ্মা চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, ওই সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৮০জন। অর্থাৎ গতবছর ৪৯৩জনকে লক্ষ্যমাত্রার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৮৯০জন। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৮৬৮জনকে চিকিৎসার আওয়তায় নিয়ে আসা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এখনও ১০২২জনকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, বড় থেকে ছোট যে কারও যে কোনও সময় যক্ষ্মা হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যত যক্ষ্মা রোগী ধরা পড়বে, তাদের মধ্যে একজন রোগী চিকিৎসা না করালে নতুন করে ১০-১৫জন যক্ষ্মা রোগী তৈরি হবে। যক্ষ্মা খুবই সংক্রামক। তবে, চিকিৎসার আওতায় এলে এই রোগ কমে যাবে। জামবনী ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শনাক্তকরণ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দু’সপ্তাহ ধরে কাশি, ঘুসঘুসে জ্বর, ওজন কমে যাওয়াই মূল লক্ষণ হল যক্ষ্মা রোগীর। ছ’মাস থেকে ন’মাস ওষুধ খেলেই যক্ষ্মা রোগ সারবে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ পাবেন যক্ষ্মা রোগীরা। এমনকী প্রত্যেক যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসা চলাকালীন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত প্রতি মাসে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি থেকে ৫০০টাকা দেওয়া হয়।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি বলেন, ঝাড়গ্রামকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অসুস্থতা বোধ করলেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলাকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে চাই।