কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ঠিক কী ঘটেছিল? চোয়াল শক্ত করে সবটা জানালেন ভুরা। বললেন, ‘ভোর পাঁচটায় আমাকে ফোন করেছিল মোশারফ। বলল, আগুন লেগেছে। ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল। গলা কাঁপছিল। ওকে বললাম, বেরতে যখন পারছিস না নীচে লাফ দে। ও বলল, এতটা উপর থেকে ঝাঁপ দিলেও মরতে হবে। তার পরই ফোনটা কেটে গেল। হাসপাতালে এসে শুনলাম ভাইটা আর নেই।’
ভুরা একা নন। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড চত্তরে তাঁর মতো অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করেছেন। স্বজনহারা মানুষগুলো ডুকরে কেঁদে চলেছেন। কেউ আবার মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়েছেন। চোখে মুখে একরাশ শূন্যতা। অনেকেই আবার ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড থেকে মর্গ পর্যন্ত দৌঁড়ে বেড়াচ্ছেন। কাছের মানুষটা আদৌ বেঁচে রয়েছে কি না, জানার জন্য। সেই দলেই থাকা এক যুবক জানালেন, তাঁর দুই খুড়তুতো ভাই সাজিদ ও মোহসিন ব্যাগ তৈরির ইউনিটে কাজ করতেন। রাতে সেখানেই ঘুমিয়েছিলেন। সাজিদ ও মোহসিন বেঁচে আছে কি না, কোনও খবর নেই। বেলা থেকে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে হাসপাতালের এদিক থেকে ওদিক।
ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড চত্বরে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়েছিলেন মুস্তাক নাদাক। তবে হাসপাতালে পৌঁছনোর পর ভুরার মতো তাঁকে প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ পেতে হয়নি। মুস্তাকের ভাই ও তাঁর শ্বশুর টুপি তৈরির ইউনিটে কাজ করেন। মুস্তাক বলেন, হাসপাতালে এসে খবর পাই দু’জনেই বেঁচে রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। এখন কিছুটা হাল্কা লাগছে।
মুস্তাক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও উৎকণ্ঠা কাটছে না নুরজান জাহানের। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে বারবার অনুরোধ করে চলেছেন। একবার অন্তত ওয়ার্ডের ভিতরে যেতে দিন। নুরজানের বক্তব্য, আমার ভাই আর বাবার কোনও খবর ওরা জানাতে পারছে না।