গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন তমলুকেও রোড শোয়ে হাজির ছিলেন অভিষেক। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তার জবাবে সুর সপ্তমে তোলেন রাজ্যের শাসকদলের সেকেন্ড ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে প্রধানমন্ত্রীর নতমস্তকে হাত জোড় করা ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘এটাই মুখ্যমন্ত্রীর দাম। যে নরেন্দ্র মোদির টিকি ধরে রাজনীতি করো, তিনিই মাথা নিচু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করেন।’ অভিজিৎবাবুকে শুধু বাংলা-বিরোধী নয়, দেশদ্রোহী আখ্যা দিতেও পিছপা হননি অভিষেক। স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘যিনি মহাত্মা গান্ধী এবং নাথুরাম গডসের মধ্যে বেছে নেওয়ার কাজে ইতস্তত করেন, তাঁর চেয়ে বড় দেশদ্রোহী কেউ হতে পারে না। সর্বাধিনায়ক সতীশ সামন্ত এই তমলুক থেকে পাঁচবারের সাংসদ হয়েছিলেন। সেই মাটি থেকে বিজেপি একজন দেশদ্রোহীকে প্রার্থী করেছে।’ প্রাক্তন বিচারপতি বিজেপি এবং সিপিএমের কথায় যুবকদের চাকরি খেয়েছেন বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আগামী ৪ জুনের পর উনি যাতে তমলুকে ঢুকতে না পারেন, সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে।’
এদিন ধনেখালির সভায় নির্বাচনী বন্ড, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতেও অভিষেক কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপি ও তাদের ধর্মের তাসকে। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ধর্মের কথা বলে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, ভিনদেশে গোমাংস সরবরাহের ব্যবসা যাঁরা করে, তাঁরাই বিজেপিকে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন, বুথ প্রতি দলের কর্মীদের মদ খাওয়ার খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। অর্থাৎ গোটা রাজ্যে শুধু ৪০ কোটি টাকা মদে ব্যয় হবে। আর মানুষ বাড়ি পাবেন না, ১০০ দিনের কাজের টাকা পাবেন না। এই হচ্ছে বিজেপি ও তার জুমলা সরকারের চরিত্র।’ ওষুধ ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হন অভিষেক। বলেন, ‘মানুষের ঘর থেকে শ্রমের টাকা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।’ তাঁর গ্যারান্টি, ‘কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের সরকার হবে আর নির্ণায়ক শক্তি হবে তৃণমূল।’