সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
এদিন নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক সম্মানের কথা উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সাফাই দিয়ে বলেন, ‘আমি তো নিয়োগকর্তা নই। কমিটি নিয়োগ করত।’ তাঁর আইনজীবী সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আদালতে তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তির নাম এফআইআর, চার্জশিটে রয়েছে। কিন্তু তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে না।’ বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘এটা কী হচ্ছে? দেরি হলে মুশকিল কিন্তু।’ সিবিআই জবাবে বলে, ‘আমরা সেই প্রক্রিয়াতেই রয়েছি।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য পার্থর জামিন মেলেনি। তাঁর সঙ্গেই সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা সহ মোট সাতজনের ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে, এদিন আদালতে ঢোকার সময় তিনি সিপিএম ও বিজেপির তিন নেতার নামে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন পার্থ। সেই সঙ্গে বাম আমলের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ২০০৯-১০ সালের ক্যাগ রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে বলেন। তাঁর এই বক্তব্যের আগেই অবশ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে জানান, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সিপিএম, বিজেপির নেতারা চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক।
এছাড়া, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অঙ্কিতা অধিকারী ছাড়াও একাদশ-দ্বাদশে আরও ভুয়ো নিয়োগের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা প্রয়োজন। এদিন কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকেও আদালতে তোলা হয়। সেখানে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাপস বলেন, ‘যা বলার, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল বলবে।’ কুন্তল দাবি করেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন না। বি এড কলেজ বিক্রির বিপুল টাকা দিয়েছিলেন গোপাল দলপতিকে। বিচারক তিনজনকেই ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।