সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
আয়কর আইনের ১৩৩ এ (৫) ধারায় বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানবাড়ির খরচের উপর নজরদারির অধিকার রয়েছে আয়কর কর্তাদের। যদি কোনও ‘সোর্স’ মারফত খবর পাওয়া যায় কোনও বিয়েবাড়িতে দেদার খরচ করার কথা আছে, তাহলে সেখানে রেইকি করতে যান দপ্তরের কর্তারা। অন্য যেকোনও আয়কর হানার আগে যেভাবে নির্দিষ্ট এলাকা বা ঠিকানায় রেইকি করেন তাঁরা, এখানেও ব্যাপারটি একই। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বিয়েবাড়িতে বিনা আমন্ত্রণে যাওয়া যাবে কী করে? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এক্ষেত্রে তাঁরা ক্যাটারার, বা ইলেকট্রিক কর্মচারী বা ডেকরেটরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তাতে ঝুঁকি থাকলেও সেটুকু নিতে হয়, বলছেন তাঁরা। মেনুতে কী কী আছে, তা থেকে শুরু করে কনের গয়নার বহর বা সাজসজ্জা—সবটুকুর খরচের একটা প্রাথমিক হিসেব ছকে নেন। এরপর সেই কর্তার আয়ের সঙ্গে যেমন খরচের হিসেব কষা হয়, তেমনই খরচগুলি সাদা পথে হয়েছে কি না, তাও দেখা হয়। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, প্রয়োজনে ক্যাটারার, ডেকরেটরদের থেকে বিল চেয়ে পাঠানো হয়। হিসেবে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে মোটা টাকা জরিমানার মুখে পড়তে হয় সব পক্ষকেই।
আয়কর আইনকে কাজে লগিয়ে এই কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ, জানাচ্ছেন কর্তারা। তাঁদের কথায়, কলকাতায় শেষবার এমন হানা হয়েছিল এক নামজাদা অভিনেত্রীর বিয়েতে। তবে তাঁর সেলিব্রিটি পিতা পাইপয়সার হিসেব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আয়কর দপ্তরকে। সেবার রণে ভঙ্গ দিয়েছিল ইনকাম ট্যাক্স। আর তারা সেপথে এগয়নি। কিন্তু দপ্তর এখন উৎসাহ হারিয়েছে কেন? কর্তাদের একাংশের কথায়, হানাদারি এমনিতেই কমেছে। যেটুকু হচ্ছে, তারও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনীতির রং থাকছে। তাই চিরাচরিত সংস্কৃতি মেনে নিজেদের উদ্যোগে কলো টাকার সন্ধানে ঢিলেমি পড়েছে দপ্তরে। সেই কারণেই বন্ধ বিবাহ অভিযান।