সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহৎ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের পরেই। কিন্তু যোগীরাজ্যে আলুচাষিদের হাল করুণ। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় জানান, উত্তরপ্রদেশে চাষিরা ৪-৫ টাকা কেজি দরে আলু বেচেছেন। সেখানেও সরকার চাষিদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ টাকা কেজি দরে আলু কিনবে বলেছিল। কিন্তু প্রকল্পটি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে ইউপির চাষিরা আলুর দাম কমই পেয়েছেন। ইউপিতে এবার আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এতে বাংলার আলু ব্যবসায়ীরা ভয়ে আছেন। কারণ ইউপি বিভিন্ন রাজ্যে সস্তায় আলু পাঠাবে। এতে ভিন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলু রপ্তানি মার খেতে পারে। যোগী সরকার ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানির জন্য ভর্তুকি ঘোষণা করেছে। ফলে ইউপির আলু বাংলার বাজারেও ঢুকবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবার এরাজ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টন আলু উৎপাদনের আশায় ছিল কৃষি বিপণন দপ্তর। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই দপ্তরের ধারণা। দক্ষিণবঙ্গে আলুর উৎপাদন কিছুটা মার খেয়েছে। নিম্নমানের আলুবীজ ব্যবহার এবং বৃষ্টির আকালই এর কারণ। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার রাজ্যে কমবেশি ১ কোটি টন আলু হবে বলে তাঁরা মনে করেন। হিমঘরের ৮০ শতাংশ ভরে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের হিমঘরগুলি সম্পূর্ণ ভর্তি হবে না বলে হিমঘর মালিকরা মনে করছেন। তবে রাজ্যের চাহিদার থেকে অনেক বেশিই আলু হিমঘরে থাকবে বলে তাঁরা নিশ্চিত।