সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
২০১৮ সালের জুলাই মাসে চার সদস্যের একটি প্রজেক্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি গঠন করে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থদপ্তরের অডিট ব্রাঞ্চের অধীনে এই কমিটি গঠিত হয়। এর কাজ হল প্রতিটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা এবং কোথাও যাতে অপ্রয়োজনীয় খরচ না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া। গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকারের গৃহীত সব প্রকল্পই রূপায়িত হয়েছে এই কমিটির ছাড়পত্র পাওয়ার পর। বেশিরভাগ প্রকল্পের সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি জড়িত রয়েছে বলে পূর্তদপ্তরের প্রাক্তন পদস্থ কর্তা শ্রীকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকি তিনজন সদস্য হলেন উত্তম কাঞ্জিলাল, বীরেন্দ্রনাথ দে এবং সিদ্ধার্থ দত্ত।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য অর্থদপ্তর এই কমিটির কাজকর্ম নিয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনও প্রকল্পে ১ কোটি, কোনও ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ আটকেছে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃর এই কমিটি গঠনের ফলে। সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের অপ্রয়োজনীয় খরচ আটকানো গিয়েছে এভাবে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা পড়েছিল তৎকালীন অর্থসচিব তথা বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বীর কাছে। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, ২০২১ সাল পর্যন্তই এই খাতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় খরচ ঠেকানো গিয়েছে। সেই পরিমাণই বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি টাকায়।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি প্রকল্পের ডিপিআর পাঠাতে হয় এই কমিটির কাছে। এর ফলে প্রকল্পের খরচ থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি বিশেষজ্ঞ কমিটির
দ্বারা দু’বার করে যাচাইয়ের সুযোগ তৈরি হয়। এর জন্য প্রকল্পের কাজ চালু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও আটকানো যায় অপ্রয়োজনীয় খরচ। প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলেও তা গোড়াতেই ধরা পড়ে।