সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে এই মুহূর্তে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা ২৩ হাজার ৫১০। এক থেকে দু’বছর ধরে বিচার চলছে, এমন বন্দির সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। দুই থেকে তিন বছর বিচারাধীন হয়ে আছেন আরও তিন হাজার বন্দি। তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে মামলা চলছে, এমন বন্দির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। পাঁচ বছরের বেশি বিনা বিচারে বন্দি আছেন আরও হাজার দেড়েক মানুষ। সরকার চাইছে এঁদের মামলার দ্রুত শুনানি হোক। জামিন পাওয়ার যোগ্য যাঁরা, তাঁদের জামিন মিলুক। দোষীরা দ্রুত সাজা পাক। কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে দিনে দিনে বন্দিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে বিচারাধীন বন্দিদের নিয়ে। আইনি লড়াই লড়ার মতো সামর্থ্য নেই অনেকের। তাঁদের জন্য আমরা আদালতে আইনজীবী পাঠাব।’ কারাদপ্তর সূত্রে খবর, যেভাবে বন্দির সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন সংশোধনাগার প্রয়োজন। তাই মালদহের চাঁচল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে দু’টি সংশোধনাগার তৈরির প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কারামন্ত্রী।
কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে ৬০টি সংশোধনাগারে এখন সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মিলিয়ে বন্দির মোট সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। অথচ, সব সংশোধনাগার মিলিয়ে থাকতে পারেন প্রায় ২০ হাজার বন্দি। বাড়তি ১০ হাজার বন্দিকে রাখার ব্যবস্থা করতে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে বলে কারাদপ্তর সূত্রের খবর। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে কোথাও কোথাও বন্দিদের গাদাগাদি করে রাখতে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্তরা তো জেলেই থাকবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিচারাধীনদের নিয়ে। কিন্তু বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আদালতের নির্দেশেই তাঁদের সেখানে রাখতে হয়। সেই জন্য আমরাই উকিল পাঠিয়ে মামলার ফয়সালা চাইছি।’ কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন দু’ হাজারের বেশি বিচারাধীন বন্দি। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন আছেন ২৩০ জন। এঁদের মধ্যে অনেকেরই আইনজীবী নেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানা গিয়েছে।