সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
সল্টলেকে অয়নের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছিল টেট ও নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআর শিট। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ইডি জানতে পেরেছে, স্কুলে পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগও হয়েছে অয়নের হাত ধরে। মূলত হুগলির বিভিন্ন স্কুলে এই ধরনের শিক্ষক নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ও শান্তনু ছিলেন শেষ কথা। যুব নেতার ক্ষমতা বৃদ্ধির পর তাঁর দাপট ছড়িয়ে পড়ে অন্য জেলাতেও। কোন স্কুলে কতজন প্যারা টিচার রাখা হবে, সেটাও ঠিক করতেন তাঁরা। এর প্রার্থী জোগাড় হতো বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে। ইডির দাবি, এতেও লাভের অঙ্কটা ছিল বিপুল। আর তারপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পা বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। শান্তনু ও অয়নকে জেরায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি জেনেছে, হুগলির বিভিন্ন কলেজে পার্ট টাইম লেকচারার, অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ দিয়ে কলেজ সেক্টরে প্রবেশ করেন শান্তনু ও অয়ন। অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে এজেন্ট মারফত প্রার্থীদের বায়োডেটা জমা পড়ত। আংশিক সময়ের অধ্যাপক বা গেস্ট ফ্যাকাল্টি নিয়োগের জন্য টাকার অঙ্ক ধরা ছিল ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। সল্টলেকের বাড়িতেই ডিল চূড়ান্ত হতো। চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে শান্তনুর কাছে যেতেন অয়ন। সেই ‘ফাইনাল’ লিস্ট চলে যেত কলেজের পরিচালন কমিটির কাছে। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্তাকে ফোন করতেন অয়ন। শান্তনুর ক্ষমতা বৃদ্ধির পর অন্য জেলার কলেজগুলিতেও আংশিক সময়ের অধ্যাপক বা গেস্ট ফ্যাকাল্টি নিয়োগে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের বাড়ির বৈঠকে ছাত্রনেতা থেকে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য—উপস্থিত থাকতেন অনেকেই। এভাবেই একের পর এক কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয় অয়নের। তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, কোন কলেজে কত অবৈধ নিয়োগ, সেই নকশা তৈরি হতো সল্টলেকেই। তারপরই কাজে নামত এজেন্টরা—প্রার্থী সংগ্রহের জন্য। কে কোন কলেজে পড়াতে চাইছেন, ‘দর’ তার উপর। ইডির দাবি, অয়নের ল্যপটপ ঘেঁটে এই সব তালিকা মিলেছে। চার মধ্যে কতজন কোন কলেজে নিযুক্ত, সেই উল্লেখও রয়েছে তাতে। একইভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে এক পদ্ধতিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতামান স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর—সেই মাপকাঠিও মানা হতো না অয়ন সিন্ডিকেটের দাপটে। অয়নের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ অবশ্য জানান, তাঁর মক্কেল এসবের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।