শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
উপস্থিত জনতার মধ্যে তখন মৃদু গুঞ্জন। প্রিয় প্রার্থী কী বার্তা দেন সে দিকেই মন সবার। অভিষেক আরও বললেন, ‘ষষ্ঠ দফার শেষে এদের (বিজেপি) মাথা, মেরুদণ্ড, ঘাড় ভেঙে দিয়েছি। কফিনে শেষ পেরেক ডায়মন্ডহারবারের মাটি থেকে পুঁতে দেব।’ শুধু গরম ভাষণ নয়, এদিন ডায়মন্ডহারবারের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর কাজের হিসেবও দিয়েছেন। নলবাহিত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলেছিলাম, করতে পারেনি। এছাড়া একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এবছরের ভোটে জয়ের ব্যবধান ৪ লক্ষ করার টার্গেট নিয়েছেন এই যুবনেতা। সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলবেন বলেই আশাবাদী তিনি।
ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে বিজেপির নেতারা বলছেন, ৩০-৩৫টা আসন চাই। ওই আসন পেলেই রাজ্য সরকার ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই রাজনৈতিক চক্রান্তের সমালোচনা করে অভিষেক বলেন, ‘লোকসভায় ভোট চাইছে, বিধানসভা ভাঙার জন্য। মানুষ এর জবাব দেবে।’ তারপর বলেন, আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনি। মা-ভাই-দাদার কাছে কেউ ভোট চায় নাকি? আপনাদের কাছে আমার দাবি, এবার সাতটা বিধানসভা থেকে বজবজকে এক নম্বরে থাকতে হবে। ৪ তারিখ বিকেলের দিকে এখানে সবুজ আবির খেলতে আসবেন বলেও জানিয়ে দেন অভিষেক। তিনি আবেদন রাখেন, ২ নম্বর বোতামে ভোট দিয়ে দু’নম্বরি নেতাদের তাড়াতে হবে। বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, একজন প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে ওদের একমাস লেগে যায়। আর দু’হাজার এজেন্ট খুঁজতে কতদিন লাগবে ভেবে নিন। মিছিলে বিপুল জনসমাগম দেখে আপ্লুত অভিষেক। তিনি বলেন, এর আগেও এখানে এসেছি। কিন্তু এত মানুষের ভালোবাসা পাইনি। যত দিন এগচ্ছে, ভালোবাসা আরও বাড়ছে। ভাষণ শেষে তিনি ফের বলেন, আবার ৪ তারিখে দেখা হবে।