প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
ইয়ুথ হস্টেলের উদ্দেশ্য ট্রাভেল, ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার স্পিরিট, ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন এবং এডুকেশন ও হেল্থের মতো বিষয়গুলিকে কম খরচে হস্টেলের সুবিধা প্রদান করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও যুবাদের সামাজিক এবং উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চার এবং এডুকেশনাল ইভেন্ট-এর ব্যবস্থা করা। এদেশের প্রতিটি রাজ্যেই রয়েছে ইয়ুথ হস্টেলে থাকা-খাওয়ার সুবিধা।
ইয়ুথ হস্টেল থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতাও রয়ে গিয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের বিষয়টি। বাইরের জগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতো বিষয়টিতে সংরক্ষণশীল পরিবারে অনেক সময়ই প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সুবিধা মতো সুযোগ পাওয়া এবং অবশ্যই নিরাপত্তা। এইসব মহিলাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় আনন্দের। সেই আনন্দ খুঁজে নেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় প্রকৃতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। কিন্তু দেখা যায় এই সুবিধা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে লাভ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইয়ুথ হস্টেলের সহায়তায় পাওয়া যায় সেই সুযোগ, নিরাপত্তা, থাকা খাওয়ার সুবিধা, রোড ম্যাপ, গ্রুপ ট্রেকিং, নেচার স্টাডির মতো বিষয়গুলি। এইভাবে ইয়ুথ হস্টেল যাতে মহিলাদের জন্য আরও সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য এগিয়ে এসেছে কাদম্বিনী ইউনিট। ইয়ুথ হস্টেলের ন্যাশনাল চেয়ারম্যান এস ভেঙ্কট নারায়ণনের উৎসাহে পিয়ালী ঘোষ এগিয়ে এসে বর্ধমানে তৈরি করেছেন দেশের মধ্যে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ইয়ুথ হস্টেলের দ্বিতীয় ইউনিট ‘কাদম্বিনী’। যার প্রধান উদ্দেশ্যই হল বিভিন্ন ধরনের ইন্ডোর এবং আউটডোর কাজের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং নিজস্বতা তৈরি করে দেওয়া। দেশের মধ্যে প্রথম মহিলা ইউনিটটি তৈরি হয়েছে এ বছরেরই প্রথম দিকে পুদুচেরিতে।
কিছু মাস আগে আত্মপ্রকাশ করা ‘কাদম্বিনী’ প্রায় শতাধিক সদস্যকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যেই হয়েছে ‘প্রকৃতি ও মানব সভ্যতা’র উপর বিশেষ সেমিনার। শহরতলির মহিলাদের সক্রিয় অংশ গ্রহণে এবং প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ এবং ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দি আর্টস, দিল্লির রিসার্চ অফিসার ডঃ রাহুল কুমার এবং প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অশোক মজুমদারের বক্তব্য সেমিনার উদ্দেশ্যকে সফল করে তোলে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত বংশীবাদক পণ্ডিত চেতন যোশি।
সদস্যদের মধ্যে বুটিকের ক্ষুদ্রব্যবসায়ী চিত্রা সাহা, শিক্ষিকা পারমিতা চৌধুরী, শিক্ষিকা চৈতালী সিনহা, গৃহবধূ পম্পা মজুমদার, পূর্ণিমা দত্ত, চাকুরিরতা সায়ন্তনী মজুমদার, ছাত্রী মধুরিমা সামন্ত, অঙ্কিতা সামন্ত— সবাই এক বাক্যে জানালেন মহিলা হিসাবে জীবনে চলার পথে নানা সংঘাতের সম্মুখীন হতে হয়। শুরু হয় একাকিত্ব, অবসাদ। বাচ্চারা তাদের জগৎ নিয়ে থাকে। স্বামীরা থাকে কাজের জগতের পাশাপাশি বন্ধুগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে। এসবই মহিলাদের জীবনকে অনেকটাই একা করে দেয়। তার সঙ্গে নিরাপত্তা এক বিশেষ ধরনের অজুহাত। ঘরের বাইরের জগৎ থেকে মহিলাদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। কর্মজীবী মহিলা হলেও বাড়ির কাজ আগে। তারপর বাকি কিছু। কমবয়সি থেকে মধ্যবয়সি সকলেরই একই অভিমত এই একাকিত্ব থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম রাস্তা ‘কাদম্বিনী’-র সঙ্গে যুক্ত হওয়া। পিয়ালী ঘোষের কাছ থেকে জানা গেল পরবর্তী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহিলাদের দল নিয়ে ডেসার্ট ট্রেক এবং মনসুন ট্রেকের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও জানুয়ারি মাস নাগাদ থাকছে নেচার স্টাডি এবং ভিলেজ ট্যুর।