মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার ভোটের দিন সকাল থেকে তৃণমূল, বিজেপি মাঠে সমানে সমানে লড়াই দিলেও সিপিএমের দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও বুথে সিপিএমের এজেন্ট বসলেও বাইরে আলাদা করে বুথ ক্যাম্প তৈরির ছবি দেখা যায়নি। গত লোকসভায় ৭শতাংশ ভোট পেয়েছিল বাম দল। নেতৃত্বের দাবি, গতবারের থেকে ভোট শতাংশ অনেকটাই বাড়বে এবার। অর্থাৎ, যে সব বাম ভোট রামে গিয়েছিল, তারা ভুল বুঝতে পেরে ফের বামে ফিরবে। কিন্তু, এদিনের ছবিটা লালপার্টির জন্য মোটেও সুখকর ছিল না।
খোদ বিষ্ণুপুর শহরেই ২০টির কাছাকাছি বুথে তাদের এজেন্ট ছিল না বলে জানা যায়। বেলিয়াড়ার দিকে তো আরও করুণ অবস্থা। একই চিত্র কোতুলপুর, হেতিয়া, গেলিয়া, জয়পুর, জামকুড়ি দিকেও। যে সব এলাকায় একসময় লাল পতাকা ছাড়া কিছুই দেখা যেত না, সেখানে একেবারে লালের চিহ্ন নেই।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই ময়দানে সিপিএমকে দেখা যায়নি। শেষ মুহূর্তে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে বুথস্তরের সিপিএম কর্মীদের ‘বসিয়ে’ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলাস্তরের নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, সিপিএমকে তো মাঠে দেখতে পেলাম না। রাম-বামের সেটিং হয়েছে। এবার আমাদের ওই দুই দলের মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। খুবই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। মানুষ আমাদের পক্ষেই রায় দেবে।
বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা স্বপন ঘোষ বলেন, বুথ ক্যাম্প না থাকার কারণই হল তৃণমূলের সন্ত্রাস। মানুষ আতঙ্কে আছে। সব জায়গায় কর্মী নেই ঠিকই। যেখানে আছে, সেখানে মানুষ সাহস করে এগিয়ে আসছে না।
কোতুলপুর, জয়পুর এলাকার পরিচিত মুখ সিপিএম প্রার্থী শীতলচন্দ্র কৈবর্ত। তিনি বলেন, দিকে দিকে বুথের ২০ মিটারের মধ্যে অবৈধ জমায়েত করা হয়েছিল। দলের কর্মীদের মদ খাইয়ে তৃণমূল আমাদের এজেন্টদের মারধর করেছে। এই কারণে ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসতে সবাই সাহস পায়নি। মানুষ যে রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব।
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, সিপিএমের সঙ্গে সেটিংয়ের কোনও প্রশ্নই নেই। বিজেপি নিজের সংগঠনের জোরেই লড়াই করেছে। এখানে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত।