নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর ও সংবাদদাতা, বেলদা: ভোটের মুখেই বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অগ্নিমিত্রার ভোট কাণ্ডারী। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে দাঁতন বিধানসভার মোহনপুরে। এই ঘটনায় ভোটের আগে আরও বেসামাল গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই দলীয় সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অগ্নিমিত্রার ভোট কাণ্ডারী তথা মোহনপুরের দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা গৌতম পতি। তাঁর ক্ষোভ, সংগঠনের নব্য নেতারা তাঁর মতো পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই বীতশ্রদ্ধ হয়েই পদ ছাড়লেন তিনি। তবে এখনই দল না ছাড়লেও এই নির্বাচনে আর কোনও কাজ করবেন না বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই দলত্যাগ করেছেন মোহনপুরের দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা তথা গত বিধানসভার প্রার্থী শক্তি নায়েক। এবার গৌতম পতি। শনিবার রাতে জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পদত্যাগের কথা জানান গৌতমবাবু। বিষয়টি স্বীকারও করেন জেলা সভাপতি। জানা গিয়েছে, পেশায় শিক্ষক গৌতমবাবু মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য। দাঁতন বিধানসভার নির্বাচনী কমিটির কো-কনভেনার। ফলে অগ্নিমিত্রা পলকে জেতানোর গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু ভোটের মাত্র পাঁচদিন আগে পদত্যাগ করায় বিজেপি কিছুটা বিপাকেই পড়ল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বামেদের শক্ত ঘাঁটি মোহনপুরে শক্তি নায়েক, গৌতম পতিদের মতো নেতার হাত ধরেই বিজেপির উত্থান। গত ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় ব্যাপক ফল করে বিজেপি। এবারের নির্বাচনেও শক্তিবাবু, গৌতমবাবুদের কাঁধে ভর করেই ফের দাঁতনে ভালো ফল করার স্বপ্ন দেখছিল বিজেপি। কিন্তু সেই স্বপ্ন কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। গৌতমবাবু বলেন, নব্য নেতারা এসে দলে দাপাদাপি করছেন। আমাদের মতো পুরনো নেতাদের সম্মান করতেই ভুলে গিয়েছে। আমার পদকে অসম্মান করা হয়েছে।