মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের মেন গেটে তালা ঝোলানো ছিল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষ সেখানে সরকারি পরিষেবা নিতে গিয়েও ফিরে যান বলে অভিযোগ। এদিন এক গ্রামবাসী তাঁর পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুর পর মৃতদেহের সৎকারের আগে প্রধানের একটি সার্টিফিকেট নিতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। জেনা হেমব্রম নামে ওই বাসিন্দা বলেন, আমার পরিবারের একজন মারা গিয়েছেন। তাঁর সৎকার করার জন্য একটি প্রধানের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন। কিন্তু সকালে পঞ্চায়েতে গিয়ে দেখি তালা ঝুলছে। প্রধানকে অনেকবার খোঁজ করেও পায়নি। খুব সমস্যায় পড়েছি।
এক গ্রামবাসী রাজ মণ্ডল বলেন, পানীয় জলের জন্য একটি দরখাস্ত জমা দিতে গিয়েছিলাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু দপ্তর বন্ধ থাকায় ঘুরে আসতে হয়েছে আমাকে।
শুক্রবার জেলার আহমদপুরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি রাজনৈতিক জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে জেলার ছ’টি বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যরাও গিয়েছিলেন। কিন্তু দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বুলি পাহারিয়া সেখানে গিয়েছিলেন কি না বা কেন পঞ্চায়েত বন্ধ ছিল সেবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দেরিয়াপুরের এক বিজেপি নেতা উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদিজির সভায় আমাদের জনপ্রতিনিধি ও দলের কর্মীরা যাবে এটাই স্বাভাবিক। সরকারি দপ্তর খুলে রাখা বা সেখানে পরিষেবা চালু রাখার কাজ সেখানকার সরকারি কর্মীদের। তৃণমূল সেই সরকারি কর্মী সঙ্গে যোগসাজশ করে ইচ্ছা করে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিল।
যদিও তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি বলেন, বিজেপি পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কোনও দায়িত্বই নেই তাঁদের। আমাদের দলেরও অনেক নেতৃত্ব প্রচারে আসছেন। কিন্তু তৃণমূলের পরিচালনায় থাকা কোনও পঞ্চায়েতের সরকারি পরিষেবা কী বন্ধ রয়েছে? কিছু বলার নেই বলে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা বিষয়টি বিডিওকে জানাচ্ছি।