প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
যদিও কয়লা উৎপাদনে দেশ স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে গেলেও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। তেমনই ভূমির বদলে কাজ পাওয়ারও সুযোগ হাতছাড়া হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু ভারতের মতো দেশে জমি অধিগ্রহণ না করে শ্রমিক ছাড়াই এই পদ্ধতি কতটা সফল হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভূগর্ভে কয়লা সঞ্চয়ের নিরিখে ভারত বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা উত্তোলনেও স্থান বিশ্বে চতুর্থ। তবু, ভালো মানের কয়লার জন্য নির্ভর করতে হয় আমেরিকা, ইউএসএর উপর। তার প্রধান কারণ পুরনো চিরাচরিত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন। এই পদ্ধতিতে খরচ বেশি হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনের চাহিদাও মেটে না। তাই এবার এই ক্ষেত্রটিকে আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই কনটিনিউয়াস মাইনার পদ্ধতির পর এবার ইসিএল চালু করতে চলেছে হাইওয়াল মাইনিং।
এই পদ্ধতিতে ওসিপির যে স্তরে কয়লা আছে, সেখানে নামানো হবে হাইওয়াল মাইনিং মেশিন। সেই মেশিন সুড়ঙ্গ করে ৩০০ মিটার গভীর পর্যন্ত কয়লা বের করে আনতে পারবে। পাশাপাশি সুড়ঙ্গ খনন করে বিপুল পরিমাণ কয়লা বের করবে। কোনও এলাকায় ট্রেঞ্চ কেটে সেখানেও এই মেশিন নামিয়ে কয়লা কাটা সম্ভব। রানিগঞ্জ ব্লকের নিমচাতেও ট্রেঞ্চ কাটা হচ্ছে। এতে একাধিক সুবিধা রয়েছে। ওসিপির পার্শ্ববর্তী যে অংশে কয়লা থেকে যায়, সেখান থেকেও বের করে আনা যাবে। অবৈধ কয়লা চোররা এতদিন সেই কয়লাকেই টার্গেট করত। এবার সেটাও তুলে নেওয়া গেলে মাফিয়া রাজ কমার সম্ভাবনা থাকবে। দ্বিতীয়ত, এক জায়গায় ওসিপি করার পর, পার্শ্ববর্তী জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলেও তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে অনেক সময়েই সঞ্চিত কয়লা ফেলেই প্রকল্প শেষ করে দিতে হয়। এক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা থাকবে না। তাছাড়া বিশাল এলাকাজুড়ে ওসিপি করার পর কয়লা উত্তোলন শেষ হয়ে গেলে তা দুষ্কৃতীদের ডেরায় পরিণত হচ্ছে। যদিও নতুন পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগের খুব কম অংশের ক্ষতি করে কয়লা উত্তোলন হলে এই সমস্যা মিটে যাবে।
ইসিএল এই সর্বাধুনিক পদ্ধতির প্রথম প্রয়োগ করতে চলেছে দেশের কয়লা উত্তোলনের ইতিহাসের আঁতুড়ঘর নারায়ণকুড়িতে। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের বাংলোর অদূরে একটি ওসিপি ছিল। সেটি সম্প্রসারণ করতে বাধা আসে। তাই কয়লা থাকা সত্ত্বেও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় এখন রমরমিয়ে কয়লা চুরি চলছে। এবার সেই এলাকাতেই হবে হাইওয়াল মাইনিং। ইসিএলের দাবি, প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা এখান থেকে বের হবে। ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, আমরা নারায়ণকুড়ির ওসিপিতে হাইওয়াল মাইনিং শুরু করব।