কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
রাজ্যে পালাবদলের আগে বাম আমলে ২০১০সালে বালিঘাটের দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য লাভপুরের নবগ্রামে মনিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা বসে। সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে একই পরিবারের তিন ভাই কটুন শেখ, তরুক শেখ ও ধানু শেখকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রূপে নাম উঠে আসে মনিরুল ইসলামের। ২০০৯সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মনিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, সেবছরই শেষের দিকে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনার পর তাঁদের পরিবারের তরফে মনিরুল ইসলামসহ ৫২জনের নামে লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১সালে রাজ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। তার পরেই মনিরুল ইসলাম লাভপুর থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হয়ে যান। ঘটনার দীর্ঘ পাঁচবছর পর পুলিস যে চার্জশিট জমা দেয় তার থেকে মনিরুলের নাম বাদ যায়। নিহতের পরিবার এই বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ঘটনার পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৪সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে বীরভূম পুলিসকে মামলাটির পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো বিশেষ তদন্তকারী দল গত তিনমাস ধরে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেন বোলপুর মহকুমা আদালতে। সেই চার্জশিটে নতুন করে নাম ঢোকে মনিরুল ইসলামের। ইতিমধ্যেই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মনিরুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। চার্জশিটে মনিরুলের পাশাপাশি নাম ঢুকেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে মৃত তিন ব্যক্তির মা জরিনা বিবি গ্রামে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় দীর্ঘদিন ধরে বোলপুর থানার রজতপুর গ্রামে বসবাস করেন। তবে, মৃত তিনজনের অপর ভাই আনারুল শেখ এখনও গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। নতুন করে তদন্ত শুরু হওয়ার পর তাঁরা পুলিসের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। সেইমতো রবিবার থেকে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে দু’জন সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত মনিরুল ইসলামের নাম চার্জশিটে জুড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মৃতদের পরিবার। তাই পুলিসের এই পদক্ষেপে তাঁরা খুশি হয়েছেন।
এবিষয়ে জেলা পুলিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই আগে থেকেই মৃতদের পরিবারকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। আগেও দেওয়া হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আনারুল শেখ বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হতো। মনিরুল ইসলাম এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। তাই আমরা পুলিসি নিরাপত্তা চেয়েছিলাম।