কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ঠিক মতো না হওয়া, সঠিক সময়ে রেজাল্ট বের না হওয়া প্রভৃতি একগুচ্ছ দাবি নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর একদল ছাত্রছাত্রী রাজবাটী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলেন। তার জেরে অসুস্থ হয়ে উপাচার্য হাসপাতালে ভর্তিও হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ২৬ নভেম্বর গোলাপবাগে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। জানা গিয়েছে, সেই ঘেরাওয়ের খবর এবং ঘেরাওয়ের কারণ শিক্ষামন্ত্রীর কানেও পৌঁছেছিল। অনেকে বলছেন, তাই তিনি এদিন একসঙ্গে দু’পক্ষকেই সতর্ক করে গেলেন। ঘেরাও নিয়ে পরে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঘেরাওয়ের রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। সে যে দলই হোক।
প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে তাঁর কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি ছাড়াও ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, রেজিস্ট্রার তাফাজল হোসেন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক অনুপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে এদিন দু’ঘণ্টা দেরিতে উদ্বোধন হওয়ায় অনুষ্ঠানের ‘ছন্দপতন’ ঘটে।
বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গবেষণা নিয়ে আমাদের কাজ অত্যন্ত কম হয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে যটুকু চর্চা হয়েছে তা চাকরি ভিত্তিক। চর্চাটা যে সময় চালু রাখার কথা ছিল, তা চালু ছিল না। বিজ্ঞান নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করা হয়নি। আমি দেখছি, এখন নামী দামি স্কুলগুলিতেও বিজ্ঞানে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা কমছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আমরা স্কুলস্তরে বিজ্ঞান মেলা করছি। সেখানে প্রদর্শনী হচ্ছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীকে খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, গবেষণার উপরে আমাদের অনীহা। কেউ খুব একটা আগ্রহ দেখান না। গবেষণার মানও কমছে। সৃষ্টির মধ্যে না থাকলে কোনও দেশ এগতে পারবে না। বিজ্ঞান চর্চা এবং গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিডারশিপ নেওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা সময় ভুঁইফোঁড়দের মতো এমবিএ কলেজ হল। সবাই এমবিএ পড়ছে। তারপর চাকরি করছে পাঁচ হাজার টাকা মাইনে’তে। অর্থাৎ মান পড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জল সংরক্ষণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঠে নামার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানের কথাগুলি গ্রামের পাড়ায় গিয়ে বলতে হবে। কিন্তু, সেটা কারা বলবে? জল সংরক্ষণ নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমেছেন। মানুষকে সচেতন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করুন। আপনারাও রাস্তায় নেমে হাঁটুন।
এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসের পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কৃষি বিষয়ক সেমিনার করার আবেদন জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, বর্ধমান শস্য ভাণ্ডার জেলা নামে পরিচিত। এখানে প্রচুর চাষ হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরও একটি নিজস্ব কৃষি খামার রয়েছে। সেখানকার কৃষি বিজ্ঞানীরা যদি একটি কৃষি বিষয়ক সেমিনার করেন তাহলে খুবই ভালো হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখার আবেদন করব। আমরা আমাদের সরকারের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।