মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরির বিরুদ্ধে পড়া লিফলেট নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ না হলেও এদিন শান্তিভূষণবাবু নিতুড়িয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই বিরোধী দলের লোকজন এমন ঘৃণ্য কাজ করছে। তবে বিরোধীরা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওই লিফলেট ছড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে। জেলার পুলিস সুপার এস সিলভা মুরুগান বলেন, পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিতুড়িয়ার পারবেলিয়া, সরবড়ি মোড় ও রঘুনাথপুর বাজারের কিছু জায়গায় লিফলেটগুলি ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে অনেকে বুধবারের লিফলেটগুলি ভেবে তেমন গুরুত্ব দেননি। তবে ওই লিফলেটে দ্বিতীয় খণ্ড ও ব্লক সভাপতি শান্তিভূষণের নাম উল্লেখ থাকায় সকলেই আশ্চর্য হয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন মোবাইল মারফত লিফলেট ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শান্তিভূষণবাবু নিজে পারবেলিয়া বাজার থেকে ওই লিফলেট সংগ্রহ করেন বলে জানা গিয়েছে।
রঘুনাথপুর বিধানসভার দুঃখী জনসাধারণের নামে ওই লিফলেট ছাপানো হয়। তাতে নিতুড়িয়া ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছাড়াও তাঁর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী মহেন্দ্র সাওয়ের নাম রয়েছে। যা নিয়ে স্বভাবতই নানা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। ওই লিফলেটের তৃতীয় খণ্ড শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
লিফলেটে শান্তিভূষণের নামে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, তিনি জনগণকে মানুষ বলে গণ্য করেন না। কালো কাচ লাগানো দামি গাড়িতে আসেন। ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিং করে নিজের ভাগ বুঝে নিয়ে বাড়ি চলে যান। সভাপতি হওয়ার পর তিনি বহু টাকা দিয়ে বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন। দলের ক্ষমতা দেখিয়ে চিটফান্ডের নামে(সাহারার) গরিব মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। লক্ষাধিক টাকার ৪-৫টি গাড়িতে তিনি যাতায়াত করেন। এছাড়া তাঁর সঙ্গীদের নামে দামি দামি মালবাহী গাড়ি ও বেনামি সম্পত্তি কেনা ও ছায়া সঙ্গী মহেন্দ্র সাওকে নিয়ে ঠিকাদারদের কাছে টাকা আদায় ও লাইসেন্স বানিয়ে ঠিকাদারির কাজ করাচ্ছেন।
এবিষয়ে শান্তিভূষণবাবু বলেন, দলীয় প্যাডে লিফলেট ছড়ানোর কথা জানিয়ে নিতুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। সকালে হঠাৎ খবর আসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক প্রচারপত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। ওই প্রচারপত্রে আমার নামে কুৎসা রটানো হয়েছে। যেখানে আমাকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানি করা হয়েছে। তাই ঘটনার তদন্ত চেয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মহেন্দ্রবাবু বলেন, আমি কোনও ঠিকাদারের কাজ করি না। কেউ দলের ও আমাদের নামে ভুয়ো প্রচার ছড়াচ্ছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল দলের প্রতিটি নেতা গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। জনগণ তার জবাব লোকসভা নির্বাচনেও দিয়েছে। এখন নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে একে অপরের নামে কাদা ছেটাচ্ছে।