যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ফোনে বাড়িতে থাকা ডেঙ্গু আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য স্বাস্থ্যদপ্তর কন্ট্রোলরুম চালু করেছে। পাশাপাশি পুরসভা ও বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনকে কন্ট্রোলরুম চালু করতে বলা হয়েছে।
কোভিড মহামারীর সময় ফোনে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিত স্বাস্থ্যদপ্তর। এই উপায় অবলম্বন করে মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে বাড়তি সুবিধা পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি। তাই পুজোয় বাড়িতে থাকা ডেঙ্গু আক্রান্তদের খোঁজ নিতে কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২’এর অফিসে ওই কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে দিনে একবার ফোন করে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সঙ্গে দপ্তরের কর্মীরা কথা বলছেন। জ্বর সহ এই রোগের অন্যান্য উপসর্গ কীরকম তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও উপসর্গ জটিল মনে হলে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চতুর্থীতে ওই কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। তা চালু থাকবে ছটপুজো পর্যন্ত। স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি এ ধরনের ব্যবস্থা পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনকেও করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলার মধ্যে শিলিগুড়ি শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৬৬ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ মতো পুরভবনে কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। তাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন।
শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে ইতিমধ্যেই পুরসভায় কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি মেয়র গৌতম দেব সহ সমস্ত মেয়র পরিষদ সদস্য ও কাউন্সিলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
পুরসভার কর্মীদের একাংশ জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার সময় অনেকে ভুল ঠিকানা দিয়েছেন। তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেকে এখানকার বাসিন্দা নন। তাঁদের বাড়ি অন্য জেলায়। রক্ত পরীক্ষা করার পর তাঁরা নিজের জেলায় ফিরে গিয়েছেন। ফোন করে খোঁজ নিতে গিয়ে এমনও তথ্য মিলছে।
শুধু স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া নয়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে আক্রান্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে তাঁদের কাছে চাল, ডাল সহ পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জেলাবাসীকে সচেতন করতে শহর ও গ্রামের প্রতিটি পুজো মণ্ডপে ডেঙ্গু সম্পর্কে প্রচার অভিযান চালানো হবে। এ জন্য সর্বত্র পোস্টার ও ব্যানার বিলি করা হয়েছে।