যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, তৃতীয়া থেকেই চুটিয়ে পুজোর উদ্বোধন করছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী দিনহাটার এমএলএ উদয়ন গুহ। তৃতীয়া থেকে পঞ্চমীর সন্ধ্যা পর্যন্ত কোচবিহার, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ মহকুমায় ৩০টির বেশি পুজোর উদ্বোধন তিনি করে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, দিনহাটার তিনটি দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে করা হয়েছে। ওই পুজোগুলি হল দিনহাটা শহিদ কর্নার, মদনমোহন বাড়ি ও গোসানি রোড কিশোর সঙ্ঘ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তবে কি জেলায় নিশীথের প্রভাব, জনপ্রিয়তায় আগের থেকে ভাটা পড়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, দিনহাটা ছাড়াও কোচবিহার, তুফানগঞ্জে একাধিক পুজো কমিটি আমাকে পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০টি পুজো উদ্বোধন করেছি। আরও বেশকিছু পুজোর উদ্বোধন ষষ্ঠীতে করব। পুজোর উদ্বোধনে নিশীথের ডাক না পাওয়া নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস করে কারও মনে জায়গা করে নেওয়া যায় না। মানুষের উপর অত্যাচার করলে গ্রহণযোগ্যতা কমে। মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু ওঁর কোনও অবদান নেই জেলায়। ওঁর ভাঁওতাবাজি সকলে বুঝে গিয়েছে। তাই পুজো কমিটিগুলি এড়িয়ে যাচ্ছে ওঁকে।
যদিও এ ব্যাপারে জানতে কোচবিহারের এমপি মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে টেলিফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি। তাঁর দল বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, জেলাজুড়ে তৃণমূল আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। দিনহাটায় উদয়ন গুহ এতটাই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছেন যে, ইচ্ছা না থাকলেও পুজো কমিটিগুলি ওঁকে ছাড়া কাউকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করার সাহস পাননি। উদয়ন গুহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। কিন্তু, পুজো উদ্বোধনে উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় কোনও জেলা থেকে ওঁর ডাক পড়েনি। মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার জেলার পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও পুজো উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী। নানা কাজে বাইরে থাকায় পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না। দিনহাটা শহরে মুক্তধারা ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করছেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। -নিজস্ব চিত্র