সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: ৫০০ বছর ধরে পঞ্চমুণ্ডির আসনে পূজিতা হন মা দুর্গা। গঙ্গারামপুর শহরের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম দুর্গাবাড়ির পুজো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচশো বছর আগে গঙ্গারামপুরের বেশিরভাগ এলাকা ঘনজঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। সেই সময় এলাকায় এক সাধু থাকতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই সাধু নিজেই দুর্গাপ্রতিমা বানিয়ে পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে অধুনা বাংলাদেশ দিনাজপুরের জমিদার তা জানার পর দুর্গাপুজোর দায়িত্ব নেন। বহু বছর গঙ্গারামপুরে ওই জমিদার পুজো করেছেন। জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি হওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দা স্বর্গীয় স্বর্ণকমল মিত্র ও তাঁর বন্ধু এবং পরিজনরা দুর্গবাড়ির পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। পাঁচশত বছরের প্রাচীন এই পুজো এখন সর্বজনীন। 
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর পাঁচদিন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র দুর্গাবাড়ির পুজো মণ্ডপে সময় কাটান। গঙ্গারামপুর শহরে একাধিক বিগ বাজেটের পুজো হলেও শহরবাসী একবার হলেও দুর্গাবাড়ির মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করে যান। এখানে দেবী দুর্গা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসেন। আজ, শনিবার ষষ্ঠীতে হবে দেবীর বোধন। অষ্টমীতে দেওয়া হয় অন্নভোগ। এই পুজোর বর্তমানে অন্যতম উদ্যোক্তা গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। তিনি বলেন, ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা এই দুর্গাবাড়ির পুজো দেখেই। আমার বাবা স্বর্গীয় স্বর্ণকমল মিত্র সহ জেঠু, কাকা, পাড়া প্রতিবেশীরা অনেকদিন থেকেই এই পুজোর দায়িত্বে। আমাদের পাড়ার পুজো এটি। দুর্গাবাড়ির পুজো এখন সর্বজনীন। পুজোর পাঁচদিন পাড়ার কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না। সকলেই আমরা পুজো মণ্ডপে থাকি, পুজোয় অংশগ্রহণ করি, এখানেই খাওয়াদাওয়া আনন্দ করি। পুজোয় এখানে দর্শনার্থীদের ঢল নামে।