প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুতের অন্যতম অঙ্গ পাড়া বৈঠক। গ্রামবাসীদের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প তৈরি করতেই এই পন্থা চালু করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার শিলিগুড়িতে পাড়া বৈঠক করা হবে না। উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে গ্রামবাসীদের মতামত জানতে চালু করা হচ্ছে সাজেশন বক্স। দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ বলেন, পাড়া বৈঠক মানেই ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এরজেরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই পঞ্চায়েত স্তরে ফেসিলিটেড টিমের সদস্যদের বাড়ির গেটের সামনে সাজেশন বক্স বসান হবে। সংশ্লিষ্ট টিমে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মী, সমাজসেবী, শিক্ষক, পঞ্চায়েতের জনপতিনিধিরা রয়েছেন। গ্রামের উন্নয়ন বা চাহিদা সম্পর্কে লিখিত মতামত ওই বক্সে জমা দেবেন গ্রামবাসীরা। সেইসব মতামত নিয়ে পর্যায়ক্রমে সংসদসভা ও গ্রামসভায় আলোচনা করে প্রস্তুত করা হবে জিপিডিপি।
২০২১-২২ আর্থিক বছরের জিপিডিপি প্রস্তুতে উদ্যোগী হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের হলঘরে এব্যাপারে একটি কর্মশালা হয়। কর্মশালায় মহকুমা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক পি কে বরদেওয়া, মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ, আইএসজিপির জেলা কো-অর্ডিনেটার সোমাশ্রী সাধু সহ প্রশাসনের আধিকারিক, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই কর্মশালায় জিপিডিপি প্রস্তুতের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়। অনলাইনে চলা এই কর্মশালায় অংশ নেন রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব দিবেন্দ্যু দাস। কর্মশালার পরে মহকুমা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনিবার্হী আধিকারিক বলেন, আগামী আর্থিক বছরের জিপিডিপি তৈরি নিয়ে কিছু নির্দেশিকা মিলেছে। সেই মতো জিপিডিপি তৈরি করা হবে।