প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ম্যানেজার (ডিআরএম) যতেন্দ্র কুমার বলেন, এই মুহূর্তে মালদহ থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য প্রতিদিন একটিই ট্রেন চলছে। নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সেই ট্রেনটিতে টিকিটের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। অনেকেই তাই কনফার্মড টিকিট পাচ্ছেন না। তবে আরও একটি ট্রেন সপ্তাহে দু’দিন চলছে গুয়াহাটি থেকে হাওড়া পর্যন্ত। কিন্তু প্রতিদিন চলে বলে এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদাই বেশি। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না মেলায় যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে গৌড় এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন চালু হলে টিকিটের সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। তবে কবে অন্যান্য ট্রেন চালু হবে তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
এই মাসেই মালদহ থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য যাওয়ার কথা ছিল ইংলিশবাজারের মকদুমপুর এলাকার প্রবীণ নাগরিক সুরঞ্জন রায়ের। কিন্তু কনফার্মড টিকিট পেতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে তাঁকে। টিকিট পেয়েছেন বটে, তবে তা ১৩ অক্টোবরের।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের চাকুরে সুজয় ঘোষ বলেন, ট্রেনের টিকিট পাওয়া এখন লটারিতে টাকা জেতার মতো ব্যাপার। বাড়ি থেকে অনলাইনে টিকিট কাটলে প্রতিদিনই দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট দেখাচ্ছে। কিন্তু ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশনে প্রবেশ করার অনুমতি নেই। তাই ঝুঁকি নিতে পারছি না।
মোথাবাড়ি থেকে মালদহে এসেছিলেন স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। এক ট্র্যাভেল এজেন্টের কাছে টিকিটের জন্য ধর্না দিয়েও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতা যাওয়া জরুরি। কিন্তু ট্রেনের টিকিট পাওয়া গেল না। এখন তাই প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু জাতীয় সড়কেরও তো ভয়াবহ অবস্থা। ওই রাস্তা দিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকির।
তবে এরই মধ্যে উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। নেতাজি সুভাষ রোডের এক ট্র্যাভেল এজেন্ট বলেন, অনেকে কনফার্মড টিকিট পেতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত টিকিট কিনছেন। এনজেপি থেকে মালদহ পর্যন্ত যাত্রা না করেও শুধু নিশ্চিত আসন পেতে খরচ করতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। কারণ এই ট্রেনে মালদহ কোটার আসন খুব কম। যাঁদের কলকাতা যেতেই হবে তাঁরা এই অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছেনও।