কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
শীতের শুরুতে এলাকায় এমনিতেই জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। তার উপর সাম্প্রতিক ভোলানাথবাবুর ঘটনা এলাকাবাসীর চিন্তা বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, গত তিন ডিসেম্বর কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভোলানাথবাবুর মৃত্যু হয়। ওই নার্সিংহোম থেকে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ডেঙ্গুর কথাই। ওই শিক্ষক চাঁচল ব্লক সদরের ভারতীনগর এলাকায় থাকতেন। ওই এলাকার পাশাপাশি আশেপাশের গ্রামগুলোতে মশার দাপট নিয়ে কমবেশি অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মশা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা না থাকায় এলাকায় পতঙ্গবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ওই শিক্ষকের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে বাড়তি আতঙ্ক নিয়ে থাকছি। শীতের মরশুমে মধ্যেও যে মশার কামড়ে ডেঙ্গু হচ্ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব রয়েছে কি না, তা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারাই ভালোভাবে বলতে পারবেন। তবে এলাকায় দিনের বেলা প্রচুর মশার উৎপাত রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্যদপ্তর নিয়মিতভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পালন করছে না।
এবিষয়ে চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, কয়েকদিন আগে চাঁচলের এক শিক্ষক শুনেছি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি ব্লক সদরে থাকতেন। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এমনিতেও মশার উপদ্রব রয়েছে। মশার উৎপাতে আমরা দলীয় কার্যালয়ে বসেই থাকতে পারি না। মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। বিষয়টি আমরা দলীয়ভাবেও তাদের জানাব।
বিএমওএইচ তথা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চাঁচলে ডেঙ্গুর কোনও প্রভাব নেই। সাধারণ জ্বর নিয়ে রোগীরা আসছেন। আগে থেকে জ্বরের আক্রান্তের সংখ্যাও এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। ওই শিক্ষক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেই রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। ডেঙ্গু নিয়ে যদি কোনও আতঙ্কের বিষয় থাকে তবে সে বিষয়টি আমরা দেখব।
চাঁচল পঞ্চায়েতের উপ প্রধান উৎপল তালুকদার বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। নর্দমা সাফ রাখা, আবর্জনা পরিস্কার করা নিয়ে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা শিক্ষক ভোলানাথ দাস কর্মসূত্রে চাঁচলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তিনি খরবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চাঁচল ব্লক সদরের ভারতীনগরে থাকতেন। চাঁচলে থাকাকালীন তিনি ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। যদিও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁর রিপোর্টে ডেঙ্গু নেগেটিভ ছিল বলে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন। ভোলানাথবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী সুচিত্রা দাসের দাবি, চাঁচলে থাকাকালীনই জ্বরে আক্রান্ত হন ভোলানাথবাবু।