গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
দেশের রাজনীতিতে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী মমতা। এবার তিনি শপথ নিয়েছেন কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে মোদি সরকারকে উৎখাত করার। বিষ্ণুপুরের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গেই নেত্রী স্পষ্ট বলেন, ‘আমি সাতবারের সাংসদ। কয়লা, রেল, যুব ও ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। মানুষের আশীর্বাদে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির মতো এত বড় মিথ্যাবাদী ও ভাঁওতাবাজ প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি।’ সভায় হাজির মানুষের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘১৫ লক্ষ টাকা তো দূরের কথা, পঞ্চাশ হাজার টাকা কেউ পেয়েছেন? নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতিমতো ২ কোটি চাকরি কেউ পেয়েছেন? বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দিচ্ছে গ্যারান্টিবাবু?’ সবক’টি প্রশ্নেই জনতার গর্জন সমস্বরে জবাব দেয় ‘না’। মমতা বলেন, ‘তাহলে আপনারাই বলুন, কেন নরেন্দ্র মোদিকে ভাঁওতাবাজ বলা হবে না!’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শেয়ার বাজারে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে বলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে এদিন সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কয়লা ও গোরু পাচারের মামলায় অমিত শাহের গ্রেপ্তারির দাবিও তোলেন। তাঁর কথায়, বিজেপির সন্দেশখালি ইস্যু ব্যর্থ হওয়ায় এখন ধর্মীয় বিভাজনের ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়েও মমতা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমার কাছে যা খবর, তাতে বিজেপি ২০০ আসন পার করতে পারবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।’ রীতিমতো রাজ্য ধরে ধরে বিজেপির ‘বেহাল দশা’ সামনে আনেন নেত্রী— ‘ওরা কর্ণাটকে ঘেঁচু। কেরলে কাঁচকলা। তামিলনাড়ুতে নো চান্স। উত্তর-পূর্বে ঢুকতে দেবে না। হরিয়ানাতেও ঢুকতে দেবে না। দিল্লিতে না। রাজস্থানেও কমে যাবে আসন। মধ্যপ্রদেশে কম পাবে। উত্তরপ্রদেশে অর্ধেক হয়ে যাবে। পাঞ্জাব, বিহার, ওড়িশা, বাংলায় আসন পাবে না বিজেপি। ফলে অঙ্ক ক্লিয়ার!’