কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
হাসপাতালে আসার পর মানব কোনওরকমে বলে, আমরা তিনজন দুপুরে স্কুলে বই জমা করে কালীনগরে আবাসনে গিয়েছিলাম। তারপর একটা বালতিতে হাত দেবার পর বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু কেন তারা সেখানে গিয়েছিল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পরিজনরা জানিয়েছেন, ওই তিনজন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি জানা যাচ্ছে না। এদিকে আটঘড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজল প্রধান বলেন, এদিন স্কুলে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর নবম শ্রেণীর ছাত্রদের বই জমাও বন্ধ ছিল। ওরা স্কুলেও আসেনি। তবে দুপুরে কীভাবে ও কেন ওরা স্কুলের পোশাক পরে ওই আবাসনে গেল, তা বুঝতে পারছি না।
এদিন ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কালীনগর এলাকার নির্জন এলাকায় চারতলার নির্মীয়মাণ আবাসন। তার চারদিক টিন দিয়ে ঘেরা। রয়েছে গেট। ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে রঙের বালতির মধ্যে বালি, বোতলের মধ্যে স্টোনচিপস। মেঝেতে বারুদের দাগ স্পষ্ট। ছড়িয়ে ছিল একজোড়া চটিও। একপাশে পড়ে মদের বোতল। দোতলা থেকে নীচের ঘর পর্যন্ত মেঝে ও দেওয়ালে রক্তের ছাপ ছাপ দাগ। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ হতে পারে, আবার রাখা বারুদে হাত দিতে গিয়েও বিস্ফোরণ হতে পারে। বারুইপুরের মহকুমা পুলিস আধিকারিক অভিষেক মজুমদার বলেন, চারতলার নির্মীয়মাণ আবাসন। তিন জন স্কুল ছাত্র পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল। তারপরে দোতলাতে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। আবাসন সিল করে দেওয়া হচ্ছে। কেন এখানে এসেছিল, তা জানা যায়নি। ফরেন্সিক টিম বম্ব স্কোয়াড টিম মঙ্গলবার আসবে। বোমা রাখা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্কুলে গিয়েও কথা বলা হবে।