Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ।
‘ভারত মাতা কি জয় বলে স্লোগান দিতে জানে। মিছিল করতে পারে। কিন্তু বিজেপি ভোট করাতে পারে না। আগে সংগঠন করতে হবে, তারপরে তো তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই।’—অর্জুন সিং।
এঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের অতি পরিচিত মুখ। বিজেপি নেতা। তাঁদের এইসব মন্তব্য আসলে চব্বিশের নির্বাচনে দলের ধরাশায়ী হওয়ার সাফাই। তাঁদের দাবি, বাংলার মানুষ বিজেপিকে চায়। কেবল সংগঠন নেই বলে তাঁরা হারছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি তাঁরা সংগঠনের ঘাড়ে দায়টা চাপিয়ে আসল সত্যিটা আড়াল করতে চাইছেন! 
কেন উঠছে একথা? ২০১৯ সালে বাংলায় বিজেপির সংগঠন বলে কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও বিজেপি এরাজ্যে ১৮টি আসন জিতেছিল। উনিশের তুলনায় চব্বিশে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা অনেক বেশি। সংগঠনও কিঞ্চিৎ বেড়েছে। তারপরেও আসন কমেছে ৩৩ শতাংশ। নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে সংগঠন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সব নয়। সেটা যদি হতো তাহলে সিপিএমকে বাংলা থেকে কেউ সরাতে পারত না। 
বাম আমলে এ রাজ্যে অনেক অত্যাচার, অবিচার হয়েছে। তারপরেও তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে চাষিদের জমি জোর করে কেড়ে নিতে যাওয়াই তাদের কাল হয়েছিল। মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে চাওয়ার জবাব বাংলার মানুষ সিপিএমকে দিয়েছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারও এ রাজ্যের গরিবের পেটে লাথি মারছে। হাজার অনুরোধেও ন্যায্য প্রাপ্য মেটাচ্ছে না। উল্টে আরও কতভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা যায়, তার ফন্দি এঁটে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তার ‘উচিত শিক্ষা’ পেয়েছে। 
কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বাজেট, সব ক্ষেত্রেই বাংলাকে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত করে চলেছে বিজেপি। দিল্লি বিজেপি বাংলার মানুষের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে গরিবের মাথার উপর ছাদ। মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অথচ রাজ্যের কোনও বিজেপি নেতা স্বীকার করেননি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা তাদের ভুল হয়েছিল। কেউ একবারও বলছেন না, তালিকা তৈরি করিয়েও আবাস যোজনার টাকা আটকে দেওয়াটা অন্যায়।
বঞ্চনা ও অত্যাচারের জবাব বাংলা সবসময় ব্যালটেই দেয়। এটা দিল্লির বিজেপি নেতারা না জানতেই পারেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দ পড়ে বড় হওয়া বঙ্গ বিজেপির নেতাদের না জানার কথা নয়। তবুও তাঁরা দিল্লিকে কিছু বলেননি। উল্টে ‘গুড বুকে’ থাকার লোভে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির আগুনে ঘি ঢেলেই চলেছেন। এমনকী, বাজেটে বাংলাকে কিছু না দেওয়াকেই সমর্থন করেছে। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন বাংলাকে বিশেষ প্যাকেজ দেবে?’ এসব বলে অগ্নিমিত্রা হয়তো রাজ্য সভাপতির দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে গেলেন, কিন্তু বাংলার মানুষ কি এটা ভালো চোখে দেখবে?
লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি বাংলার উন্নয়নে বিশেষ নজর দেবেন বলেছিলেন। গুজরাতের চেয়ে বাংলায় ভালো ফল আশা করেছিলেন। কিন্তু বাংলা নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছে। মোদিজি ফের বুঝলেন, মমতাকে হারানোর হিম্মত তাঁরও নেই। তাই এবারও একুশের স্টাইলে বাংলাকে ‘শিক্ষা’ দিতে নেমে পড়েছেন। কিন্তু তিনি কেন বুঝতে চাইছেন না, চাপ দিয়ে বাপ বলানো অন্য রাজ্যের জন্য মোক্ষম কৌশল হতে পারে, কিন্তু বাংলায় তা খাটবে না। 
এটা নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফার সরকারের প্রথম বাজেট। সিংহাসন বাঁচাতে সিংহভাগ টাকাই ‘পাল্টুরাম’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুকে খুশি করতে চলে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর দলের ১২জন জিতলেও বঙ্গের জন্য ভাষণ ছাড়া কিছুই নেই। তারজন্য মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বাংলার মানুষ। বাজেটের পরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুকান্তবাবুর আধ ঘণ্টার বৈঠক। তিনি বাংলার জন্য বিশেষ কিছু আদায় করতে পারলে এই বৈঠকই হতো ঐতিহাসিক। কিন্তু বৈঠকে তাঁর দাবি কী ছিল? উন্নয়নের স্বার্থে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যুক্ত করতে হবে।
বিষয়টি সামনে আসামাত্র প্রশ্ন উঠেছে, ফের কি শুরু হল বাংলাভাগের চক্রান্ত? উন্নয়ন উদ্দেশ্য হলে তিনি তো বাংলার জন্য বিশেষ প্যাকেজই দাবি করতেন। উত্তরবঙ্গ এবারও বিজেপিকে উজাড় করে দিয়েছে। বিহারের মতো উত্তরবঙ্গের বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্যাকেজও তিনি দাবি করতে পারতেন। এমনকী, ১২জন সাংসদের জন্য বাংলায় দু’জনকেই ‘হাফ মন্ত্রী’ না করে একজনকে পূর্ণমন্ত্রী করার দাবিও জানাতে পারতেন। তবুও মানুষ জানত, নিজেদের স্বার্থে হলেও তিনি অন্তত বাংলার হয়ে বলার সাহস দেখিয়েছেন। কিন্তু তা না করে বাংলা ভাঙার আশঙ্কা উস্কে দিলেন।
বিভাজনের রাজনীতি করার জন্যই বাংলায় ধরাশায়ী হচ্ছে বিজেপি। তাতে কর্মীদের হতাশা বাড়ছে। তাঁদের উজ্জীবিত করতে নেওয়া হচ্ছে নানান কৌশল। কেউ কেউ এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন। বলছেন, একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা এক হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তৃণমূল আজ রাজ্যের শাসক দল। তাহলে আমরা পারব না কেন? 
ভোকাল টনিক হিসেবে এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। তবে বিজেপি নেতারা ভুলে যাচ্ছেন, এক থেকে একশো হওয়ার রেসিপিটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। তিনি যখনই ক্ষমতা পেয়েছেন তখনই বাংলার জন্য কাজ করেছেন। রেলমন্ত্রী হয়েই যুগ যুগ ধরে বাংলাকে বঞ্চিত করে রাখার যন্ত্রণা সুদেআসলে উসুল করে নিয়েছিলেন। বাংলাকে দিয়েছিলেন একের পর এক রেল প্রকল্প। চালু করেছিলেন নতুন নতুন ট্রেন ও রেলপথ। তিনি রেলমন্ত্রী না হলে বাংলার বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থান আজও রেল মানচিত্রের বাইরেই থেকে যেত। পেট্রল, ডিজেলের অগ্নিমূল্যের আঁচে বাংলার বহু পর্যটন কেন্দ্র  হয়ে যেত পর্যটকশূন্য।
উনিশে বঙ্গবাসী প্রায় অর্ধেক আসনে বিজেপিকে জিতিয়েছিল। তার বিনিময়ে কী পেয়েছে? শুধুই হুঙ্কার। টাকা আটকে দেওয়ার হুঙ্কার, জেলে ভরে দেওয়ার হুঙ্কার। করেছেও। মানুষ কি তাঁদের এইজন্যই নির্বাচিত করেছিল, নাকি দিল্লি পাঠিয়েছিল এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য! কিন্তু ক’জন বিজেপি সাংসদ নিজের এলাকার জন্য বিশেষ কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প আনতে পেরেছেন? নতুন প্রকল্প তো দূরের কথা, অধিকাংশ সাংসদ তাঁদের এমপি ল্যাডের টাকাই খরচ করতে পারেননি। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুম করে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাননি। রেলমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে মানুষের মনে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে একটা ছাপ ফেলেছিলেন। তারজন্যই বাংলার মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। মানুষ বুঝেছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে বামেদের ‘চলছে না, চলবে না’ রাজনীতি থেকে মিলবে মুক্তি। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলেই একবার নয়, দু’বার নয়, তিন তিনবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। 
প্রথমবার তিনি সিপিএমের ‘নেগেটিভ’ ভোটের দৌলতে ক্ষমতায় এলেও পরের প্রতিটি নির্বাচন জিতেছেন কাজের জোরে। বাংলার গরিবরা জেনে গিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ততদিন তাঁদের না খেয়ে থাকতে হবে না। মানুষের এই বিশ্বাস তিনি অর্জন করেছেন। তাই বিরোধীরা তাঁকে যতই হেলাফেলা করুক না কেন বাস্তবটা হল, তিনিই দেশের একমাত্র হ্যাটট্রিক করা মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
সুকান্তবাবুর কথায়, ‘ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে সংগঠন দানা বাঁধে।’ একেবারে হক কথা বলেছেন। কিন্তু এবার আসন সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। তা সত্ত্বেও বাংলার তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মধ্যে দু’জনই হেরে গেলেন কেন? তাঁরা ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তাঁদের এলাকায় সংগঠন জমাট বাঁধল না কেন?
নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে সংগঠন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু শেষ কথা নয়। তারজন্য কিছু ভালো কাজের নমুনা মানুষের সামনে রাখতে হয়। বিজেপি শক্তিশালী হলে বা ক্ষমতায় এলে মানুষের ভালো হবে, এই বিশ্বাস অর্জন করাটা ছিল অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বিজেপি বাংলায় সেটা তৈরি করতে পারেনি। উল্টে সবসময় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে টাইট দেওয়ার প্যাঁচ কষেছে। তার মোক্ষম জবাব দিচ্ছে বাংলা। সুকান্তবাবু, সংগঠনকে কাঠগড়ায় তুলে আপনারা নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছেন। কিন্তু বালিতে মুখ গুঁজে কি প্রলয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়?
27th  July, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়ছে। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। দেশের সেরা টুর্নামেন্টের আগে কতটা তৈরি অংশগ্রহণকারী ১৩টি দল। কোচেরা কী বলছেন, ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে কাদের দিকে— ...

রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...

হরিরামপুরে দু’মাস ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। কিশোরীর অভিযোগ পাওয়ার পর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি হরিরামপুর থানার গোকর্ণ এলাকায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM