সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁত শিল্পীদের তৈরি সুতির স্কার্ফ এবার কিনবে রাজ্য সরকারের বিপণন সংস্থা তন্তুজ। গ্রামের তাঁত শিল্পীরা সরাসরি তন্তুজকে তাঁদের তৈরি স্কার্ফ বিক্রি করতে পারবেন। রবিবার কাটোয়ার-২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ গ্রামে তাঁতশিল্পীদের জন্য একটি ক্লাস্টার উদ্বোধন করতে এসে একথা জানান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মন্ত্রীর ঘোষণায় এলাকার তাঁতশিল্পীরা স্বভাবতই খুশি।
মন্ত্রী বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকেই তন্তুজের এমডিকে এবিষয়ে একটি অর্ডার পাশ করালাম। যাতে তাঁরা এখানে এসে সরাসরি তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে স্কার্ফ কিনে নেন। তবে তার জন্য তন্তুজের নিয়ম মানতে হবে তাঁত শিল্পীদের। আগে তন্তুজের কাছে শিল্পীদের নামের তালিকা নথিভুক্ত করতে হবে। তারপর তাঁদের উৎপদিত দ্রব্যের নমুনা জমা দিতে হবে। তবেই তন্তুজ উৎপাদিত দ্রব্য কিনে নেবে।
এদিন দুপুরে ঘোড়ানাশ গ্রামে তাঁত শিল্পীদের জন্য রাজ্য বস্ত্র ও তাঁত শিল্পদপ্তরের ৬ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ব্যয়ে একটি হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার সহ আরও বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিডিও শমিক পাণিগ্রাহী জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষাল সহ বিশিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, বলিউডের পোশাকে জায়গা করে নিচ্ছে কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতিদের তৈরি স্কার্ফ। এমনকী, বিদেশি এক্সপোর্টারদের মাধ্যমেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জামদানি মসলিন কাপড়ের তৈরি স্কার্ফ, স্টোলের চাহিদা বাড়ছে। তাতে ভালো উপার্জন করছেন তাঁত শিল্পীরা। কিন্তু এখানকার শিল্পীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, রাজ্য সরকারের সংস্থা তন্তুজ যদি স্কার্ফ কিনে নিত তাহলে দেশীয় মার্কেটে স্কার্ফের চাহিদা বাড়ত। এই দাবির কথা সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। তাঁত শিল্পীদের দাবি মেনেই এদিন মন্ত্রী তন্তুজ স্কার্ফ কেনার কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
স্বপনবাবু বলেন, এই গ্রামে তাঁত শিল্পীদের জন্য তৈরি ক্লাস্টারে এখন ১০১ জন শিল্পী আওতাভুক্ত হলেন। তারমধ্যে ৭৮ জন পুরুষ এবং ২৩ জন মহিলা। তন্তুজের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব তারা যাতে এই ক্লাস্টারের মাধ্যমে তাঁতশিল্পীদের উৎপাদিত দ্রব্য কিনে নেয়।