হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর কোহলির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট মহল। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের মতে, একদিনের ক্রিকেটে সেরা চেজমাস্টার হলেন গ্রেটদের মধ্যে ‘গ্রেটেস্ট’। একই সুরে গলা মিলিয়েছেন স্টিভ স্মিথ, মাইকেল ক্লার্করা। সদ্য ওডিআই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো স্মিথের মতে, ক্রিকেট ইতিহাসে রান তাড়ার ক্ষেত্রে কোহলিই সর্বোত্তম। ভিকে’কে পঞ্চাশ ওভারের ঘরানায় ‘গ্রেটেস্ট’ বলেছেন ক্লার্কও।
স্বয়ং কোহলি অবশ্য উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না। বিসিসিআই টিভিতে তিনি বলেছেন, ‘খেলতে ভালোবাসি। ব্যাটিং আমার অত্যন্ত প্রিয়। সেই আনন্দ ও ভালোবাসা যতদিন থাকবে, অন্য কিছু নিয়ে ভাবার দরকার নেই। রান তাড়ার ক্ষেত্রে চাপে পড়লে চলবে না। লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা জরুরি। তবেই জয় আসবে।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ক্রমাগত অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছিলেন কোহলি। প্রশ্ন উঠেছিল দলে তাঁর জায়গা নিয়ে। পাকিস্তানের পর অস্ট্রেলিয়া, দুটো কঠিন ম্যাচে দলকে জেতানো অবশ্য চাপ কমাচ্ছে। কোহলির কথায়, ‘কেরিয়ারের যে পর্যায়ে রয়েছি, তাতে এমন ধরনের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের অপেক্ষাতেই থাকি। দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করাই লক্ষ্য থাকে। তারজন্য কঠোর পরিশ্রম করি। দুই উইকেটের মধ্যে জোরে দৌড়ই। পরিস্থিতি অনুসারে খেলি। তাই পরিশ্রমের ফল পেলে ভালো লাগে। দলকে জেতানোর চেয়ে দুর্দান্ত অনুভূতি হয় না।’
ক্যাঙারু বাহিনীর বিরুদ্ধে ২৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে হারিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে বিরাটের জুটি মেরামত করে ইনিংস। তারপর রান পান অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়াও। কোহলির মতে, ‘ইনিংস জুড়ে যখন একের পর এক পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে, তখন তা স্বস্তি দেয়। এই জয় দলগত চেষ্টার ফসল। চাপের মুখে হার্দিকের দুটো ছক্কা যেমন স্বস্তি এনেছিল। রাহুল অসাধারণ খেলে ম্যাচ শেষ করে ফিরল। শ্রেয়সের সঙ্গে আমি আবার বড় জুটি গড়েছিলাম। সার্বিক প্রচেষ্টাতেই এসেছে জয়। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী।’