দুবাই: ‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার’—এই প্রবাদে বিশ্বাসী ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর। প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে তাঁকে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি যে ঋষভ পন্থের জায়গায় লোকেশ রাহুলকে খেলাবেন, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঋষভের মতো ম্যাচ উইনারকে বাইরে রেখে এত বড় মাপের টুর্নামেন্টে খেলা যে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তা জানতেন গম্ভীর। তবুও তিনি সিদ্ধান্তে অবিচল। দেরিতে হলেও পেয়েছেন সুফল। সেমি-ফাইনালে চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাট করেন লোকেশ। ভারতের জয়ের পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ম্যাচ শেষে কোহলিদের হেডস্যার বলেছেন, ‘দল নির্বাচন নিয়ে কে কী বলছে, তা পাত্তা দিচ্ছি না। আমার কাজ দেশবাসী ও ড্রেসিং-রুমে সৎ থাকা। ওয়ান ডে ফরম্যাটে লোকেশের ব্যাটিং গড় ৫০-এর বেশি। তা লোকে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না।’
চলতি প্রতিযোগিতায় ছন্দে নেই রোহিত শর্মা। সেমি-ফাইনালেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ তিনি। তবে শুরু থেকে তিনি ছিলেন খুবই আগ্রাসী। তাঁর মারকুটে ব্যাটিংয়ের সামনে একটা সময় বেশ অসহায় দেখিয়েছিল অজি বোলারদের। রোহিতের পাশে দাঁড়িয়ে কোচ বলেছেন, ‘আপনারা দেখেন কে কত রান করে, আর তার ব্যাটিং গড় কত! আমি দেখি ওর উপস্থিতি মাঠে ও দলে কতটা প্রভাব ফেলছে। আমরা ফলের কথা না ভেবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছি। আর তার পথ দেখাচ্ছে রোহিত।’
মঙ্গলবার ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাটে ভর করে তেইশের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলা নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে অল্পের জন্য কোহলি সেঞ্চুরি হারিয়েছেন, এই আপশোস রয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের মনে। গম্ভীর অবশ্য সেই দলে নাম লেখাননি। তাঁর কথায়, ‘তিনশোটা ম্যাচ খেলে কেউ যদি কয়েকবার স্পিনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলে হইচই করার কিছু নেই।’