হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
একাধিক ম্যাচ উইনারের সঙ্গে শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ। মাঠে বল গড়ানোর আগেই অনেক এগিয়ে ছিল মোলিনার দল। ম্যারাথন লিগে চোট আঘাত অঙ্গ। প্রতিটি দলকেই ভুগতে হয়েছে। মোহন বাগানও দীর্ঘ সময় স্টুয়ার্টের সার্ভিস পায়নি। অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আবদুল সামাদেরও একই দশা। অথচ ওদের অভাব ঢেকে দিয়েছে বাকিরা। এমনকী কামিংস, পেত্রাতোস, আশিক কুরুনিয়ানের মতো ফুটবলারও রিজার্ভ বেঞ্চে। সুপার-সাব হিসেবে মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে তারা। খারাপ দিনেও স্রেফ ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ম্যাচ বার করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এটাই মোলিনা ব্রিগেডের আসল ইউএসপি। এর পুরো কৃতিত্ব টিম ম্যানেজমেন্টের। শুধু টাকা থাকলেই হয় না। দল গড়তে প্যাশনের প্রয়োজন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে এখানেই বাকিদের পার্থক্য।
কথায় আছে, ট্রফি জিততে শক্তিশালী রক্ষণ প্রয়োজন। পালতোলা নৌকোর সাফল্যের নেপথ্যে পোক্ত ডিফেন্সর ভূমিকা অনস্বীকার্য। টম আলড্রেড আর আলবার্তোর স্টপার জুটি আইএসএলের সেরা। শুভাশিসের কথাও আলাদাভাবে বলতে হয়। জাতীয় দলে ফের ডাকা উচিত ওকে। দীপ্যেন্দু বিশ্বাসও লম্বা রেসের ঘোড়া। ছ’গজের বক্সে কোহিনুরের মতো ঝলমলে গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। আশা করি, মানোলো মার্কুয়েজ এরপর বিশালকে বাইরে রাখার ভুল করবেন না। বলতে হবে লিস্টন কোলাসো এবং মনবীরের কথাও। এই দুই উইং হাফ দেশের সেরা জুটি। সবচেয়ে বড় কথা, একটা সেট দল দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলায় ফুটবলারদের মধ্যে দুরন্ত বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে।
কয়েক মাসের মধ্যেই দলবদলের আসর। আমার ধারণা, নিঃশব্দে মাঠে নেমে পড়েছে মোহন বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দল অংশ নেবে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো ফল করতে নিশ্চয়ই বাছাই করা ফুটবলার দলে নেওয়া হবে। মিস্টার গোয়েঙ্কাও তো সেটাই চান।