হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
সেমি-ফাইনালে অজি বধের নায়ক বিরাট কোহলির শরীরী ভাষায় আবার চুইঁয়ে পড়ল তৃপ্তি। লোকেশ রাহুলের শট সীমানা পেরতেই হাত ছুড়ে লাফিয়ে উঠলেন তিনি। জড়িয়ে ধরলেন রোহিতকে। তাঁর পিঠ আবার চাপড়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইসিসি টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্বে এটা ভিকে’র দশম হাফ-সেঞ্চুরি, যা রেকর্ড। আইসিসি’র একদিনের প্রতিযোগিতায় ২৪ বার পঞ্চাশের গণ্ডি পেরলেন তিনি। টপকে গেলেন শচীন তেন্ডুলকরকে (২৩)। আবার আইসিসি টুর্নামেন্টের নক-আউটে সবচেয়ে বেশিবার ‘ম্যাচের সেরা’ হওয়ার কীর্তিতে ভিকে স্পর্শ করলেন যুবরাজ সিংকে (৩)। স্বয়ং তিনি অবশ্য রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না। দলকে জেতাতে পেরেই সন্তুষ্ট বিরাট। ভরপুর আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁর ঘোষণা, ‘আমি এভাবেই খেলি। এই ইনিংসের টাইমিং নিয়ে খুব খুশি। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের মতো আসরে বাড়তি চাপ থাকে। হাতে উইকেট থাকলে শেষের দিকে বিপক্ষ ঘাবড়ে যায়। সেটা মাথায় রেখেই ব্যাট করেছি। আর আমি কখনও মাইলস্টোনের কথা ভাবি না। দলকে জেতাতে পারলে রেকর্ড এমনিই হতে থাকে। দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করাই আসল। হ্যাঁ, তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারলে ভালো লাগে। কিন্তু জেতার পর আনন্দমুখর ড্রেসিং-রুমই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেরা ফর্মে রয়েছি কিনা, তা আপনারাই বলবেন।’
বিরাটের আউট সময় হতাশ দেখাচ্ছিল লোকেশ রাহুলকে। ড্রেসিং-রুমের দিকে হাঁটতে থাকা ভিকে’র উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘আমি তো মারছিলাম। তুলে শট নেওয়ার তো কোনও দরকার ছিল না।’ তবে সেই হতাশা কাটিয়ে তিনিই নেন জয়সূচক শট। আনন্দমুখর গলায় তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে ওডিআই ক্রিকেটে মিডল অর্ডারেই নামি। জানি, ছয় নম্বরে বেশি বল খেলার সুযোগ থাকবে না। চাপের মুখে বড় শটও নিতে হবে। সেভাবেই তৈরি থাকি। এই পিচে ব্যাটিং কিন্তু খুব একটা সোজা ছিল না। হার্দিক বলেছিল যে ও জাম্পাকে মারবে। ওর দুটো ছক্কা জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল। বাকি কাজটা আমি সেরেছি।’