হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বড় মঞ্চে আবারও ভারতের মুশকিল আসান বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকিয়ে টুর্নামেন্টে আগেই চেনা ছন্দে ফিরেছিলেন তিনি। এদিন সেমি-ফাইনালেও তাঁর ব্যাটেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া। ৫টি চার সহ ৯৮ বলে তাঁর ৮৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা তিনি। তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়সের সঙ্গে তাঁর ৯১ রানের জুটিই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। অল্পের জন্য ভিকে’র সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও জয়ের প্রধান কারিগর তিনি। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে ভারতীয় বোলারদেরও। বিশেষত বরুণ চক্রবর্তী ও মহম্মদ সামির। মিস্ট্রি স্পিনারের ডেলিভারিতেই দূর হয়েছে ভারতের ‘হেডেক’। ভারতকে সামনে দেখলে ট্রাভিস হেড বরাবরই জ্বলে ওঠেন। এদিনও সেই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছিল। কিন্তু বরুণই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। আর মহম্মদ সামি? যশপ্রীত বুমরাহের অভাব ঢাকার জন্য তাঁর নিরন্তর চেষ্টা অবশ্যই স্যালুটের যোগ্য। এদিন তাঁর ঝুলিতে মূল্যবান তিনটি উইকেট।
এমন দাপুটে জয়ের দিনেও হতাশ করলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারমুখী মেজাজে শুরুটা করেছিলেন হিটম্যান। ব্যক্তিগত ১৩ ও ১৫ রানে জীবনদান পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ অধিনায়ক। অনামী স্পিনার কুপার কনলিকে যেভাবে সুইপ মারতে গিয়ে রোহিত (২৮) উইকেট ছুড়ে এলেন, তা অনেকেই মানতে পারছেন না। তার আগে গিলও (৮) বাইরের বল ব্যাটে টেনে প্লেড-অন হয়েছেন। তবে এই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন কোহলি-শ্রেয়স জুটি। অজি স্পিনারদের মাথায় চড়তে দেননি তাঁরা। অবশ্য সেট হয়েও কাট মারতে গিয়ে জাম্পার শিকার হন শ্রেয়স (৪৫)।
তারপরও কোহলি থামেননি। অক্ষর (২৭), লোকেশদের সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে বড় শট খেলতে গিয়ে কোহলি যখন আউট হন, তখন ভারতের স্কোর ২২৪-৫। এরপর আর জয় পেতে অসুবিধা হয়নি ভারতের। দায়িত্ব নিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন লোকেশ রাহুল (অপরাজিত ৪২)। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন হার্দিক পান্ডিয়া (২৮)।
এদিকে, আগের দশবারের মতো এদিনও টস ভাগ্য সহায় হয়নি রোহিতের। মন্থর উইকেটে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার কুপার কনলি (০) খাতাই খুলতে পারেননি। তবে ট্রাভিস হেড মারমুখী মেজাজে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মিস্ট্রি স্পিনার বরুণের স্পিনে গিলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আর তিনি ফিরতেই অস্ট্রেলিয়ার রান রেটের গ্রাফ পড়তে থাকে। ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ লড়লেও বরুণ-কুলদীপদের সামনে লাবুশানে, ইংলিসদের হাঁটু কাঁপল। শেষ পর্যন্ত স্মিথকে (৯৬ বলে ৭৩ রান) বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের আশা খতম করেন মহম্মদ সামি। শেষ দিকে ৫৭ বলে কেরির ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে আড়াইশোর গণ্ডি টপকালেও পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪ (৪৯.৩ ওভার)
ভারত: ২৬৭/৬ (৪৮.১ ওভার)
ভারত ৪ উইকেটে জয়ী