পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
চলতি মরশুমে মোহন বাগানের সবচেয়ে বড় চমক জেমি ম্যাকলারেন। ঢাক ঢোল বাজিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে এ লিগের সেরা গোলদাতাকে জামাই আদর করে নেওয়া হয়। কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন কোথায়? এখনও পর্যন্ত ফ্লপ অজি মেগাস্টার। বলতে দ্বিধা নেই, প্রাক্তন স্ট্রাইকার হিসেবে ম্যাকলারেনের খেলায় আমি অত্যন্ত হতাশ। অধিকাংশ লক্ষ্যভেদ মনবীর, কামিংসদের। এমনকী রক্ষণ থেকে উঠে এসে আলবার্তো, শুভাশিসও জাল কাঁপিয়েছে। আমার প্রশ্ন- গালভরা বিদেশি স্ট্রাইকার রেখে লাভ কী? শুধু ডার্বিতে গোল করে জার্সি ওড়ালে হবে? বিশ্বকাপারের কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি। অবাক লাগে নিজের জাত চেনানোর তাগিদের অভাব রয়েছে ওর মধ্যে। বেচারা কামিংসকে বেঞ্চে থাকতে হচ্ছে। অথচ যেটুকু সুযোগ পেয়েছে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ব্যক্তিগত ধারণা, কামিংস থাকলে অনেক ধারাল হবে আক্রমণ। কিন্তু জেমিকে বাইরে রাখার সাহস কী দেখাবেন মোলিনা? পাশাপাশি বলতে হয় অপুইয়ার কথা। উচ্চতার খামতি নিরন্তর লড়াই দিয়ে ঢেকে ফেলার চেষ্টা করছে। অফুরন্ত দম। কিন্তু বড় চেহারার বিদেশির বিপক্ষে এঁটে ওঠা মুশকিল। ওই জায়গায় একজন লম্বা-চওড়া ব্লকার দরকার। গত বছর বড় চেহারার জনি কাউকোর অভাবটা এই দলে স্পষ্ট। ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয়ই সেদিকে নজর দেবে। তাই চাপ পড়ছে রক্ষণের ঘাড়ে। দুই বিদেশি স্টপার চিনের প্রাচীরের মতো পোক্ত। কিন্তু উইং-ব্যাক পজিশন প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়। বিশেষ করে শুভাশিস বোসের কথা বলতে হয়। সেরা সময় বহু আগেই ফেলে এসেছে বঙ্গসন্তান। কঠিন পরিস্থিতিতে লিস্টনের বিশ্বমানের গোলেই সমর্থকদের পয়সা উসুল। আর তার সুবাদে লিগ-শিল্ডের আরও কাছে মোহন বাগান।