বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
সঞ্জু স্যামসনের দুরন্ত শতরান সিরিজের প্রথম ম্যাচে এনে দিয়েছিল জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ব্যাটাররা ১২৪ রানই তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই পুঁজি নিয়েই জ্বলে ওঠেন বরুণ চক্রবর্তী। পরপর পাঁচ উইকেট নেন তিনি। ‘মিস্ট্রি’ স্পিনারের ম্যাজিক স্পেল অবিশ্বাস্য জয়ের সম্ভাবনা গড়ে দেয়। কিন্তু সেই চাপ বজায় রাখতে পারেননি দুই পেসার অর্শদীপ সিং ও আভেশ খান। দু’জনকে বেধড়ক পিটিয়ে ট্রিস্টান স্টাবস ও জেরাল্ড কোয়েৎজির জুটি জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় প্রোটিয়াদের। এই হারের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন অধিনায়ক সূর্যও। কেন বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলকে এক ওভারের বেশি ব্যবহার করা হল না, উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে অর্শদীপ-আভেশদের হতশ্রী দশা পালে হাওয়া দিচ্ছে এই চর্চায়। বরুণ ও রবি বিষ্ণোই, দুই স্পিনারই ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ভারতকে। তাহলে অক্ষর কেন বঞ্চিত থাকলেন বোলিংয়ে, উত্তর মিলছে না। কে বলতে পারে তাঁর উপর ক্যাপ্টেন আস্থা রাখলে ম্যাচের ফল পাল্টে যেত না!
ওপেনার অভিষেক শর্মার অবস্থা অবশ্য অক্ষরের একেবারে বিপরীত। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপর একটু বেশি মাত্রাতেই রয়েছে। টানা ব্যর্থ হয়ে চলছেন বাঁ-হাতি। আইপিএলের ধুমধাড়াক্কা উধাও আন্তর্জাতিক আসরে। দেশের জার্সিতে এই ঘরানায় শেষ সাতটি ম্যাচে যুবরাজ সিংয়ের ভাবশিষ্যের মোট সংগ্রহ ৭০। স্কোরগুলি এমন— ১০, ১৪, ১৬, ১৫, ৪, ৭ ও ৪। তারপরও অবশ্য বুধবার স্যামসনের সঙ্গে তাঁকেই দেখা যাবে ওপেনিংয়ে।
অবশ্য একা অভিষেক নন। অধিনায়ক সূর্য, ফিনিশার রিঙ্কু সিংও হতাশা উপহার দিয়ে চলছেন। দুই ম্যাচে তাঁদের সংগ্রহ যথাক্রমে ২৫ ও ২০। হার্দিক পান্ডিয়া রবিবার ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও অত্যন্ত মন্থর ছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮৬। তিলক ভার্মাকে আবার দুই ইনিংসেই ফর্মে দেখিয়েছে। কিন্তু কোনও ম্যাচেই আসেনি বড় রান। তাঁকে দ্রুত বুঝতে হবে যে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ বারবার আসে না।
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে গভীরতার অভাবও চিন্তার। সাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। পরের চারজনই বোলার। আটে নামা অর্শদীপের ব্যাটিংয়ে দলের আস্থা যে কত কম, তা রবিবার হার্দিকের ইনিংসেই স্পষ্ট। অনায়াস সিঙ্গলসও নিতে চাননি তিনি। আর তাই রামনদীপ সিংকে খেলিয়ে ব্যাটিংকে আরও জমাট করার ভাবনা রয়েছে। মুশকিল হল, সেক্ষেত্রে বোলিংয়ে তীক্ষ্ণতা কমবে। বাঁ-হাতি পেসার যশ দয়াল, ডানহাতি পেসার বিজয়কুমার নামানোর সম্ভাবনাও কম। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে নীল জার্সিধারীরা অবশ্য ফুরফুরে মেজাজে। শনিবার ছিল সঞ্জুর জন্মদিন। সেঞ্চুরিয়নের হোটেলে কেক কেটে তা পালন করা হয়। টিমবাসেও ‘হ্যাপি বার্থডে’ গেয়ে ওঠেন বিষ্ণোই, অর্শদীপরা।
স্টাবস-কোয়েৎজির ব্যাটে সমতা ফিরলেও স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক আইডেন মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলাররা এখনও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেননি। দুই ভারতীয় স্পিনার বরুণ ও বিষ্ণোইয়ের সামনে তাঁদের অসহায় দেখিয়েছে। তবে প্রোটিয়া বোলাররা জিকেবেরহায় লাইন-লেংথে নিখুঁত ছিলেন। সেই পারফরম্যান্সই ফের মেলে ধরতে চাইবেন মার্কো জানসেন, কোয়েৎজি, পিটারা।
ম্যাচ শুরু রাত ৮-৩০ মিনিটে। স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে সম্প্রচার।