বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মিস্ট্রি স্পিনারের কামব্যাক কারও কারও কাছে চিহ্নিত হচ্ছে বরুণ ২.০ হিসেবে। পুনর্জন্মও বলছেন অনেকে। ৩৩ বছর বয়সি নিজেই জানালেন সাফল্যের রহস্য। শুনিয়েছেন কঠিন দিনগুলোর কথা। বরুণ বলেন, ‘গত তিন বছর মোটেই সহজ ছিল না। চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি নিজের বোলিংয়ের। সমস্ত ভিডিও খুঁটিয়ে দেখি। তাতে উপলব্ধি করি যে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে সাইডস্পিন বোলিং কাজে আসছে না। তাই লড়াই শুরু করি বোলিংয়ে খোলনলচে বদল আনার। তার জন্য দুই বছর সময় লাগে। এই সময় প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। প্রথমে স্থানীয় লিগে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করি। তারপর তা মেলে ধরি আইপিএলে। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেভাবে বল করছি। সাফল্যও আসছে।’
সাইডস্পিন ছেড়ে ওভারস্পিনে নজর দেন বরুণ। নিশানা আর বৈচিত্র্য ছিল আগেই। সব মিলিয়ে এখন অনেক বেশি তীক্ষ্ণ তিনি। ডারবানে প্রথম টি-২০ ম্যাচের তিন উইকেট ধরলে চলতি সিরিজে বরুণের শিকারসংখ্যা আট। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘ধারাবাহিকভাবে নিশানায় অভ্রান্ত থেকেছি। ওভারস্পিনের সুবাদে পিচ থেকে আদায় করতে পেরেছি বাড়তি সাহায্য। আশা করছি, এই ছন্দ আগামী দিনেও বজায় রাখতে পারব।’ এবছর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই দলের মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজেও কোচ গম্ভীরের পরামর্শ পেয়েছেন তিনি। বরুণ বলেছেন, ‘আমার ভূমিকা কী হবে সেটা স্পষ্ট করে দেন উনি। বলেন যে, ৩০-৪০ রান দিলেও চিন্তা না করতে। আমার কাজ হবে উইকেট নেওয়া। সেই মতোই বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি।’
রবিবার ১২৫ রানের টার্গেট তাড়া করে বরুণের বিধ্বংসী স্পেলের সুবাদে একসময় ৬৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল প্রোটিয়ারা। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাতে কম রানের পুঁজি থাকলে আক্রমণাত্মক হতেই হয়। কারণ উইকেট নেওয়া ছাড়া জেতা মুশকিল। পরের দুটো ম্যাচেও আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এখানে আসার সময়ই জানতাম যে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ওরা এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। ব্যাটিং গভীরতাও মারাত্মক। এই পাঁচ উইকেট আরও উন্নতি করার প্রেরণা জোগাবে।’