সিডনি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়া শেষবার পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলেছিল ১৯৯১-৯২ মরশুমে। মাঝের সিরিজগুলি সীমাবদ্ধ থেকেছে তিন-চার টেস্টে। তিন দশক পর ফের পাঁচ ম্যাচের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। ২২ নভেম্বর পারথে প্রথম ম্যাচ। এই সিরিজ অজিদের কাছে অ্যাসেজের মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন মিচেল স্টার্ক। বাঁ-হাতি পেসার সাফ বলেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই মানেই আলাদা উন্মাদনা। আসন্ন
পাঁচ টেস্টের এই সিরিজকে তাই অ্যাসেজের সঙ্গে একাসনে বসাতেই হবে।’
২০১৪-১৫ মরশুমের পর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিততে পারেনি ব্র্যাডম্যানের দেশ। পরপর চারটি সিরিজ জিতেছে ভারত। তার মধ্যে ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মরশুমে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খুইয়েছে অজিরা। এবার তাই সিরিজ দখলের জন্য রীতিমতো মরিয়া হোমটিম। স্টার্ক অবশ্য শুধু সিরিজ জিততেই চান না। ভারতকে প্রতিটি টেস্টে হারানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে টিম ইন্ডিয়া শীর্ষে থাকলেও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না স্টার্ক। তাঁর কথায়, ‘আমরা ঘরের মাঠে সবসময় প্রতিটা ম্যাচ জিততে চাই। তবে ভারত যে শক্তিশালী দল তা অজানা নয়। তবুও আশা করছি, পাঁচ টেস্টের সিরিজের শেষে ট্রফিটা আমাদের হাতেই উঠবে।’ 
৩৪ বছর বয়সি তারকা পেসার এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৮৯টি টেস্ট। অর্থাৎ শততম টেস্টের মাইলস্টোন থেকে মাত্র ১১ ম্যাচ দূরে স্টার্ক। লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত তাঁর নেই। বরং টেস্ট কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য। স্টার্কের কথায়, ‘যখনই ব্যাগি গ্রিন টুপি মাথায় পরি, দারুণ রোমাঞ্চ লাগে। আশা করছি, এবারের গ্রীষ্মে টানা পাঁচ টেস্টেই আমি খেলব, আর প্রতিটাতেই জিতব। তারপর কখনও যদি একশো টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে স্পেশ্যাল হবে।’ অর্থাৎ, রোহিত শর্মার দলকে ৫-০ হোয়াইটওয়াশ করতেই চান তিনি।