মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই ঘটা করে কোচ ডোরিভাল জুনিয়র বলেছিলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল।’ তবে তা যে নিছকই দিবাস্বপ্ন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল প্যারাগুয়ে। বরং দলের খেলার যা হাল, তাতে মার্কিন মুলুকে কাপ যুদ্ধের লড়াইয়ে সেলেকাওদের যোগ্যতা অর্জন নিয়েই দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে ০-১ গোলে বশ মানলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা।
উয়েফা নেশনস লিগে ম্যাচের মাত্র ৯৯ সেকেন্ডের গোলে লিড নিয়েও জার্মানির বিরুদ্ধে জিততে ব্যর্থ নেদারল্যান্ডস। মঙ্গলবার জোহান ক্রুয়েফ এরিনায় ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে। তবে ফলের চেয়েও ম্যাচ শেষে চর্চায় রইল রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর সিদ্ধান্ত।
সত্যমেব জয়তে। হাজার মিথ্যার অন্ধকারেও যা অস্বীকার করা যায় না। আনোয়ার ইস্যুতে প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির সিদ্ধান্তে আবারও প্রমাণিত। আমি প্রাক্তন ফুটবলার। না খেলার যন্ত্রণা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারি। আনোয়ারের মানসিক অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘ময়দানের একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর’। এটাই ছিল প্রতিবাদের স্লোগান। আশা করা হয়েছিল, অভয়ার সুবিচারের দাবিতে প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়াবিদদের ভিড় উপচে পড়বে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল একেবারে অন্য ছবি। যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তেমন জমায়েত চোখে পড়ল না। উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বলতে প্রাক্তন ওলিম্পিয়ান গুরবক্স সিং, প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার, ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, অতনু ভট্টাচার্য, মিহির বসু, দুলাল বিশ্বাস, দেবজিৎ ঘোষ, সুব্রত পাল। ছিলেন দোলা ব্যানার্জি, বুলা চৌধুরি, জ্যোতির্ময়ী শিকদার, শান্তি মল্লিকরাও। ঢিল ছোড়া দূরত্বে সিএবি হলেও আশ্চর্যজনকভাবে তাদের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। ছিলেন না তিন প্রধানের কর্তারাও। বিচারের দাবি জানিয়ে স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে ক্রীড়াবিদরা মিছিলও করেন। সেখানেও চোখে পড়ে বিশৃঙ্খলা।
ময়দানের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি ঠোঁট কাটা। কখনওই কারও তাঁবেদারি করেননি। স্বাভাবিকভাবেই বাবলুদার অনুপস্থিতি অনেক উৎসাহী দর্শকদের মনে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যতম উদ্যোক্তা সোমা বিশ্বাস অবশ্য বললেন, ‘আমরা আলাদাভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি। আসলে আর জি করের ঘটনা সবাইকে টলিয়ে দিয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছি সুবিচারের দাবিতে।’ পরে আর জি কর হাসপাতালেও যান একঝাঁক প্রাক্তন। গৌতম সরকার বলেন, ‘আমরা সবাই সুবিচার চাই। তবে আন্দোলনের নামে রাজনীতি কখনওই কাম্য নয়। ডাক্তারদের অনুরোধ করেছি, দ্রুত কাজে ফেরার জন্য। কারণ, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।’
শোনা গিয়েছিল, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও নাকি পায়ে পা মেলাবেন। তবে অপেক্ষাই সার। আসেননি মহারাজ। শোনা যাচ্ছে, এই প্রতিবাদ মিছিলের ব্যাপারে তাঁকে কিছুই জানানোই হয়নি। সন্ধ্যায় অবশ্য সিএবি’তে গিয়েছিলেন সৌরভ। প্রাক্তন সভাপতি অমিয় আঢ্যর মরদেহে মালা দেন তিনি। বাকি সময়টা সংস্থার প্রাক্তন পদাধিকারীদের সঙ্গেই সময় কাটান। এমনকী, স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলির নাচের স্কুলের ডাকে বেহালার মিছিলেও অংশ নেননি মহারাজ। তবে মেয়ে সানার সঙ্গে মোমবাতি জ্বালেন তিনি। সিএবি’তে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে যেভাবে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে তাতে তিনি বিরক্ত। সৌরভ ঘনিষ্ঠদের মতে, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ক্রমশ হাইজ্যাক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাজনীতির কারবারিরা গরম হাওয়ায় হাত সেঁকার চেষ্টা করছেন।ময়দানের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি ঠোঁট কাটা। কখনওই কারও তাঁবেদারি করেননি। স্বাভাবিকভাবেই বাবলুদার অনুপস্থিতি অনেক উৎসাহী দর্শকদের মনে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যতম উদ্যোক্তা সোমা বিশ্বাস অবশ্য বললেন, ‘আমরা আলাদাভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি। আসলে আর জি করের ঘটনা সবাইকে টলিয়ে দিয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছি সুবিচারের দাবিতে।’ পরে আর জি কর হাসপাতালেও যান একঝাঁক প্রাক্তন। গৌতম সরকার বলেন, ‘আমরা সবাই সুবিচার চাই। তবে আন্দোলনের নামে রাজনীতি কখনওই কাম্য নয়। ডাক্তারদের অনুরোধ করেছি, দ্রুত কাজে ফেরার জন্য। কারণ, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।’
