প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পুত্র প্রতীকই মনে করিয়ে দিয়েছেন, শুক্রবারই পূর্ণ হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের ৫০ বছর। যা শুনে টাইম মেশিনে পা রেখেছেন পরিমল। পৌঁছেছেন ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০’এর বিকেলে। ইডেন উদ্যানে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পাস ক্লাবের মুখোমুখি ইস্ট বেঙ্গল। সেমি-ফাইনালে মোহন বাগানকে দু’গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইরানের ক্লাবটি। অন্যদিকে কোচহীন ইস্ট বেঙ্গলের হাতে দেশের সম্মানরক্ষার তাগিদ। ব্যক্তিগত কারণে মহম্মদ হোসেন মুম্বই ফিরে যাওয়ায় দলের দেখভালের দায়িত্বে দুই সিনিয়র ফুটবলার পিটার থঙ্গরাজ ও শান্ত মিত্র। সেবার লাল-হলুদের আপফ্রন্টে তারকার ছড়াছড়ি। স্বপন সেনগুপ্ত, শ্যাম থাপা, হাবিবের সঙ্গে ছিলেন অশোক চ্যাটার্জিও। তাই প্রথম একাদশে জায়গা হচ্ছিল না পরিমল দে’র। শিল্ড ফাইনালেও স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছিল লাল-হলুদ জনতার প্রিয় জংলাকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শঙ্কর ব্যানার্জির পরিবর্তে তাঁকে দলে ঢোকান শান্ত মিত্র। কিন্তু এই ঘটনা জানতেন না জংলা। তাই ফাইনালের দিন বাড়ি থেকে সোজা ইডেনে পৌঁছন তিনি। এদিকে, শান্ত মিত্র ক্লাবের শঙ্কর মালিকে বলেন পরিমল দে’র কিটস নিয়ে ইডেনে যেতে। গ্যালারিতে প্রিয় জংলাকে ঠিক খুঁজে নেন তিনি। তারপর গ্যালারির তলায় ড্রেস করেন পরিমল দে।
ফুটবলে ‘সুপার সাব’ কথাটি তখনও আসেনি। আক্ষরিক অর্থে পরিমল দে’ই ময়দানের প্রথম ‘সুপার সাব’। শিল্ড ফাইনালের খেলা শেষ হতে তখন মাত্র তিন মিনিট বাকি। চোট পাওয়ায় হাবিব খোঁড়াচ্ছেন। শান্ত মিত্রর নির্দেশে দ্রুত বুট পরে মাঠে নেমে পড়েন পরিমল। তাড়াহুড়োয় ভুলে যান শিন গার্ড পরতেও। পাস ক্লাবে ছিলেন ইরান জাতীয় দলের সাত ফুটবলার। লেফট উইঙ্গার আসগর শরাফিকে বোতলবন্দি করে রাখেন সুধীর কর্মকার। স্টপারে খেলে নজর কেড়েছিলেন প্রশান্ত সিংহ (আদতে তিনি মিডিও)। ৬৭ মিনিটে আসগরের থেকে বল কেড়ে স্বপনকে দিয়েছিলেন সুধীর। সেই আক্রমণ থেকেই ম্যাচের একমাত্র গোল পরিমলের। যা নিয়ে স্বপন সেনগুপ্তর প্রতিক্রিয়া, ‘ওটাই ছিল জংলাদার ফার্স্ট টাচ। নিখুঁত শটে জাল কাঁপিয়েছিল ও। মনে আছে, কয়েকদিন পরে পার্ক হোটেলের পার্টিতে শমিত ভঞ্জের মাধ্যমে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। পাঠিয়েছিলেন পুষ্পস্তবকও।’