মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারদের নিয়ে গঠিত ভারতের পেস বোলিং আক্রমণকে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকে আবার টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান বোলিং বিভাগকে দেশের সর্বকালের সেরা হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এবার গুণমুগ্ধদের সেই তালিকায় নাম লেখালেন ইয়ান বিশপ। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতের বর্তমন পেস আক্রমণ দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। কোনও কল্পনাই করতে পারিনি যে, ফাস্ট বোলিংয়ে ওরা এতটা উন্নতি করবে। একটা সময় ভারত সফরে গিয়ে আমাদের ফাস্ট বোলাররা যে আধিপত্য দেখাত, এখন আমাদের দেশে গিয়ে ওরা সেই তাণ্ডব ঘটাচ্ছে। সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এর জন্য ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারিফ করতে হবে ভারতের ক্রিকেট পরিকাঠামোরও। তবে সেই সঙ্গে আমি এটাও বলব যে, এই অগ্রগতির ভিত্তিপ্রস্তরটা স্থাপন করেছিল কিন্তু কপিল দেবই। তার তৈরি জমিতেই বুমরাহ-সামি-ইশান্তরা আজ ফুল ফোটাচ্ছে।’
একটা সময় ছিল যখন ভারতকে ব্যাটসম্যানের দেশ হিসেবে গণ্য করত ক্রিকেট দুনিয়া। আর বোলিং বলতে স্পিন অ্যাটাক। কিন্তু কপিলের হাত ধরে ক্রমশ বদলাতে থাকে সেই দৃষ্টিভঙ্গি। ইয়ান বিশপের কথায়, ‘ভারত থেকেও যে দক্ষ ফাস্ট বোলার উঠে আসতে পারে, কপিলই তা প্রথম দেখিয়েছিল। তার সাফল্য নতুন প্রজন্মকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। কপিলের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই জাভাগাল শ্রীনাথ, জাহির খান, মুনাফ প্যাটেল, এস শ্রীসান্তরা ভারতীয় দলের পেস আক্রমণকে আরও সম্বৃদ্ধ করেছে। আর বুমরাহ, সামি, ইশান্তরা ভারতের পেস বোলিং শিল্পকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন উচ্চতায়।’
অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি যেভাবে ভারতের ফাস্ট বোলারদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, তা দেখেও মুগ্ধ হয়েছেন ইয়ান বিশপ। তাঁর কথায়, ‘অধিনায়ক পাশে না দাঁড়ালে যশপ্রীত বুমরাহর মতো বিরল প্রতিভার বিকাশ হয়তো ঘটতো না। একই সঙ্গে ফাস্ট বোলার হিসেবে মহম্মদ সামি ও ইশান্ত শর্মার উত্তরণেও কোহলির বড় ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি। কোনও সন্দেহ নেই, ভারতের বোলিং আক্রমণ এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা।’ শুধু বুমরাহ, সামিদের প্রশংসা করেই থামেননি প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা। সেই সঙ্গে ফাস্ট বোলিংয়ে ভারতের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি বলেও মন্তব্য করেছেন বিশপ।