সংবাদদাতা, বহরমপুর: পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ চলায় যানজট আর ধুলো ঝড়ে বহরমপুরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। বহরমপুর কলেজ ঘাট থেকে শুরু করে শহিদ সূর্য সেন রোডের একপাশে ডাঁই হয়ে মাটি জমে রয়েছে। যার জেরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তা যানজটে স্তব্ধ হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি রাস্তার দুপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ধুলো ঝড়ে নাভিশ্বাস উঠছে বলে অভিযোগ তুলছেন। যদিও বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। এরপর লিকেজ টেস্ট করার পর মাটি সমান করে দেওয়া হবে। সামনে গ্রীষ্মের দাবদাহের আঁচ এখন থেকেই পড়েছে। গ্রীষ্মে যাতে পানীয় জলের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জলের বেগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের নতুন সংযোগ দিতে কলেজ ঘাট থেকে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। গোরাবাজার এবং কাশিমবাজার এলাকায় বসছে নতুন পাইপ। যার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাধীনতার পর কাশিমবাজার এলাকায় জলের পাইপ লাইন ছিল না। নতুন করে ওই এলাকায় মোটা পাইপ লাইনের কাজ হচ্ছে। এরফলে জলের চাপ আরও বাড়বে। পানীয় জলের সমস্যা মিটবে। তবে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হতেই বহরমপুর শহরে যানজট শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যানবাহন যাতায়াতে এবং বাতাশে ধুলো উড়ছে। জেসিপি দিয়ে মাটা কেটে পাইপ মাটির তলায় বসানোর পর অতিরিক্ত মাটি রাস্তার উপরই ডাঁই করে রাখা হয়েছে। দোকানের সামনে বিশাল উচ্চতায় মাটি জমে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি রাস্তার একদিকে মাটি পড়ে থাকায় যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে রাস্তায় অনবরত যানজট সমস্যা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, দিনভর ধুলো ওড়ায় চরম সমস্যা হচ্ছে। মোহনের মোড় এলাকায় বহু খাবারের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাস্তার ধুলো দোকানে ঢুকছে। খাবার নষ্ট হচ্ছে। পানীয় জলের কাজকে সমর্থন জানিয়ে ব্যবসায়ীরা মাটি সমান করে ধুলো ঝড় বন্ধের দাবি তুলেছেন। মোহন মোড়ের এক ব্যবসায়ী বিজয় রজক বলেন, দোকানের সামনে তিন চার ফুট উচ্চতায় মাটি জমে রয়েছে। খরিদ্দারের সমস্যা হচ্ছে। ধুলোয় টিকে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কাজল কর্মকার বলেন, অটো, টোটো, গাড়ি আটকে পড়ছে যানজটে।
রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই দায় হয়ে পড়েছে। আপাতত কলেজ ঘাট থেকে বিদ্যাসাগর মোড় পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে পাইপ বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, কাজ যত এগোবে সমস্যা তত বাড়বে। পাইপ বসানোর পর জমে থাকা মাটি সমান করে দিলে যানজট সমস্যা মিটত। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। -নিজস্ব চিত্র