হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, ‘বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে করছেন উপভোক্তারা। অনেকেই প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ির কাজ অনেকটা করেছেন। আমরা সেইমতো সার্ভে করছি। কোথাও কাজ শুরু না হলে তদারকি করা হচ্ছে।’
নদীয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ৪৬ হাজার ২৬৩জন উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত জেলাজুড়ে ৪২ হাজার ২৭জনের বাড়ি তৈরির কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। দেখা যাচ্ছে, জেলার প্রায় ৪০ হাজার ৭৫৬জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। যার মধ্যে ১৯ হাজার ২৫০জন বাড়ির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ করেছেন। তবে জেলাজুড়ে ১২৭১জন উপভোক্তা এখনও বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেননি। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, হাঁসখালি ব্লকের ৪৪০জন, চাপড়া ব্লকের ১৫৯জন, কালীগঞ্জ ব্লকের ১১৪জন, শান্তিপুর ব্লকের ৮৮জন, তেহট্ট-১ ব্লকের ৮৪জন, রানাঘাট-২ ব্লকের ৭৪জন, হরিণঘাটা ব্লকের ৬৮জন ও কল্যাণী ব্লকের ৪৭জন সহ মোট ১২০০জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই করেননি। উল্লেখ্য, জেলাজুড়েই বাড়ি তৈরির কাজ হচ্ছে। রাজমিস্ত্রির পেশায় যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের পোয়াবারো। কিন্তু এরফলে অনেকে বাড়ি তৈরি করার জন্য মিস্ত্রি পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। কালীগঞ্জ ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ব্লকের নয়াচর এলাকায় অনেকেই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি। আমরা কথা বলে জানতে পারি, তাঁরা মিস্ত্রি পাচ্ছেন না। অথচ বাড়ি তৈরির সামগ্রী কেনা হয়ে গিয়েছে। মিস্ত্রি পেলেই তাঁরা কাজ শুরু করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পাঠানো শুরু হয়। পুরনো অনুদানপ্রাপ্ত উপভোক্তা, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়ির জন্য আবেদনকারী যোগ্য উপভোক্তা এবং রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভাঙা পড়েছে, তাঁদেরকেই প্রাথমিকভাবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়। শুধু টাকা পাঠানোই নয়, উপভোক্তারা আদৌ বাড়ি তৈরি করছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা শুরু হয়। পাশাপাশি, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা দেওয়া নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ইউডিন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়। উপভোক্তা ওটিপির মাধ্যমে সেলফ ভেরিফিকেশন করা হয়। নদীয়া জেলায় এখনও প্রথম ৯৮ শতাংশ উপভোক্তার ইউডিন রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। বাংলার বাড়ি তৈরির কাজ তদারকি করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। -নিজস্ব চিত্র