হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আগুনের লেলিয়ান শিখা একের পর এক স্টলকে গ্রাস করে। ভস্মীভূত হয়ে যায় হস্তশিল্পীদের বহু সামগ্রী। আগুন লাগার দীর্ঘক্ষণ পরও দমকল আসেনি বলে অভিযোগ। শিল্পী ও স্থানীয় মানুষজন বালতি বালতি জল এনে কোনওরকমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে দমকল এসে আগুন নেভায়। দমকল সময় মতো না আসা ও সরকারি মেলার অফিসে কোন আধিকারিকের দেখা না পাওয়ায় শিল্পীরা তুমুল ক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এলে প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কী করণে আগুণ লাগল, তা এখনও পরিস্কার নয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুবাষিনী ই বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিমা সংস্থাকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পীরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। মেলা পুনরায় চালু হয়েছে। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, কারও কর্তব্যে গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আসানসোল পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মেলায় সর্বক্ষণ একটি ফায়ার ব্রিগেড ইঞ্জিন থাকার কথা। তা কেন ছিল না, খতিয়ে দেখা হবে।’ আসানসোল দমকল কেন্দ্রের ওসি দেবায়ণ পোদ্দার বলেন, ‘যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে আসতে সময় লেগেছে। এখানে সর্বক্ষণের জন্য গাড়ি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা খোঁজ নিয়ে জানাব।’
পয়লা মার্চ থেকে আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে রাজ্য হস্তশিল্প মেলা। কালকাতা সহ বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীরা নিজেদের পসার সাজিয়ে বসেছেন। মেলার একপাশে রয়েছে ছ’টি ফুড স্টল। স্টলের অপর প্রান্তে খোলা আকাশের নিচেই শিল্পসামগ্রী নিয়ে বসেছেন হস্তশিল্পীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ফুড স্টল থেকে প্রথম আগুন দেখা যায়। নিমেষের মধ্যে পর পর থাকা ছ’টি ফুড স্টলেই আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে উল্টো দিকে থাকা মাদুর, প্লাস্টিকের ফুল সহ হস্তশিল্পীদের বিক্রি করা সামগ্রীগুলিতে। অভিযোগ, এমএসএমই দপ্তরের বড় অফিস মেলায় থাকলেও দপ্তরের কেউ সেই সময় ছিলেন না। বাধ্য হয়ে শিল্পীরাই আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন জীবন বাজি রেখে। স্কুল পড়ুয়া স্থানীয় মানুষজনও সহযোগিতা করতে দেখা যায়। অনেক পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।