হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
রঙ্গিলা ওই যুবকের কাছে নিজেকে এক পুলিস অফিসার বলে পরিচয় দেয় সে। যুবককে চারচকা কিনে দেবে বলে আধার ও প্যান কার্ড সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট সই করে চেয়ে পাঠায়। সেইমতো সব নথি সই করে পাঠিয়ে দেন। তারপর রঙ্গিলা একদিন গাড়ির শো-রুমে গিয়ে ভিডিও কলে ওই যুবককে গাড়ি পছন্দ করতে বলেছিল। রঙ্গিলার তৎপরতা দেখে যুবকের সন্দেহ হয়। সে ওই যুবতীর ব্যাপারে খোঁজ শুরু করে। গাড়ির শো-রুমের কর্মীর নম্বর জোগাড় করে ফোন করে ওই যুবতীর ব্যাপারে জানতে চায়। শো-রুমের কর্মীদেরও ওই যুবতীকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল। সেকথা জানার পরই রঙ্গিলাকে ব্লক করে দেয় ওই যুবক। তারপরই যুবতীর একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে যুবককে হুমকি দিতে থাকে। নিজেকে পুলিস অফিসার দাবি করে ভয় দেখায়। রঙ্গিলা আরও জানিয়েছিল, তার বাবা লালবাজারের বড় অফিসার। তার সুপারিশে রঙ্গিলা কয়েকদিনের মধ্যে বেলডাঙা থানায় জয়েন করবে। তারপর যুবককে জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুমকি দেয়। এসব শুনে আতঙ্কিত হয়ে ওই যুবক বেলডাঙা থানায় ছোটেন। পুলিসকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান। পুলিস তাকে আশ্বস্ত করে ওই নামে কেউ থানায় জয়েন করার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বেলডাঙা থানার এক অফিসার বলেন, ওই যুবক থানায় এসে ওই মেয়েটির ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। তবে, তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ জমা করেননি। মৌখিকভাবে তিনি যেসব কথা জানিয়েছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল, ওই যুবতী তাঁকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।
গত বৃহস্পতিবার বহরমপুর থানার পুলিস অন্য একটি প্রতারণার মামলায় ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ওই যুবতীর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তদন্তকারীরা রঙ্গিলার একের পর এক কীর্তির কথা জানতে পেরে স্তম্ভিত। জলঙ্গি থানা এলাকায় একটি যুবককে বিয়ে করে প্রতারণা করার চেষ্টা করে সে। এদিকে ওই যুবকের নামে জলঙ্গি থানায় মামলা করে। তারপর থেকে ছেলেটি ও তার পরিবারের সদস্যরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।