হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, আগে নবদ্বীপের ঐতিহ্যপূর্ণ রাস উৎসবে বড় বড় প্রতিমা ছুঁয়ে ফেলত বিদ্যুতের তার। সেজন্য দুর্ঘটনা এড়াতে উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হতো। নবদ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ পরিষেবার। সেই কথা মাথায় রেখে শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন থেকে বাতিস্তম্ভে বা হাউস কানেকশন পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বেশকিছু জায়গায় তারগুলো খোলা ও এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও তারগুলোকে গুটিয়ে রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎবাহী তার এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এমনিতেই নবদ্বীপের বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাট সংকীর্ণ। তার মধ্যে তারগুলো যে অবস্থায় রয়েছে, সেই তার কোনওভাবে লিক হয়ে গেলে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
নবদ্বীপ ঢপাওয়ালির মোড়ের বাসিন্দা মনোজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তারগুলো কোথাও পড়ে আছে, আবার কোনও তার ঝুলে রয়েছে। এমনকী মানুষের উচ্চতার মধ্যেই সুইচবোর্ডগুলো করা রয়েছে। এখান দিয়ে সব সময় অসংখ্য লোকজন এবং টোটো চলাফেরা করে। সে কারণে কোনওভাবে ধাক্কা লাগলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। এইসব সুইচবোর্ডগুলোকে একটু উঁচুতে রাখা দরকার।
নবদ্বীপ পুরসভা এমআইসি সদস্য মিহিরকান্তি পাল বলেন, আমার ওয়ার্ডের রানিরঘাট থেকে রানিরচড়া যাওয়ার রাস্তায় কয়েক জায়গায় ওই তারগুলো খোলা অবস্থায় রয়েছে। কোন তার বিদ্যুৎবাহী, আর কোনটায় বিদ্যুৎ নেই, তা আমরা জানি না। বিষয়টি বারবার আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও সেই অবস্থায় পড়ে আছে। দোল উৎসবের সমন্বয় সভায় আমি এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু সেদিন বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনও কর্মীকে পাওয়া যায়নি। এর কিছুদিন আগে আমার ওয়ার্ডে তার যেখানে আছে, সেখানে নীচ থেকে আগুন বের হচ্ছিল। সেদিনও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল। নবদ্বীপ পুরসভার জল দপ্তরের আধিকারিক তাপস মণ্ডল জানান, আমি বর্তমানে পুরসভার বিদ্যুৎ দপ্তরের দেখভাল করছি। ২০১৫-১৬ সালে এই ভূগর্ভস্থ লাইনের কাজ শুরু হয়ে ২০১৭-২০১৮ নাগাদ এই কাজ দুটি পর্যায়ে শেষ হয়। যেহেতু নবদ্বীপের রাস উৎসব বড় বড় প্রতিমা হয়। বিধায়ক তহবিলের টাকায় সার্কুলার রোড এবং পরবর্তীকালে নবদ্বীপের বেশ কিছু এলাকায় এই ভূগর্ভস্থ লাইন সংযোগ করা হয়েছিল। এরপর পুরসভার পাইপ লাইন বা ড্রেনের লাইনে কাজ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় ভূগর্ভস্থ তারগুলো বেরিয়ে আসে। ফলে লেবাররা কাজ করতে ভয় পান। সে কারণে এখন কোথাও ড্রেনের বা পাইপ লাইনের কাজ করা হলে বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়ে ওদের লোককে সামনে রেখেই কাজ করতে হয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার নবদ্বীপ বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানান, আমরা জানতে পারলে বা আমাদের কোনওভাবে জানালে সঙ্গে সঙ্গে সেটির সমাধান করে দেওয়া হয়।